—প্রতীকী চিত্র।
পাঠ্যক্রম একই থাকবে। তবে, নবম ও দশমের পাঁচটি পাঠ্যবই এ বার অনেকটাই পরিমার্জন করে নতুন সংস্করণে পড়ুয়ারা পেতে চলেছে। এই নতুন সংস্করণের অনুমোদন দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আজ, মঙ্গলবার থেকে স্কুলগুলিতে প্রাক্ প্রাথমিক থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। এই ‘বুক ডে’ বা বই দিবসে ওই নতুন বইগুলো যেন বুক লিস্টে রাখা হয়, স্কুলগুলোকে এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে পর্ষদ।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২ জানুয়ারি থেকে সাত দিন ধরে চলবে শিক্ষার্থী সপ্তাহ বা ‘স্টুডেন্টস উইক’। এই শিক্ষার্থী সপ্তাহের প্রথম দিন, আজ, মঙ্গলবার বই দিবস। প্রাক্ প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা সমস্ত বই বিনামূল্যে পাবে। নবম এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা বাংলা, ইংরেজি এবং অঙ্কের বই শুধু বিনামূল্যে পাবে। বাকি বই তাদের বাজার থেকে কিনতে হবে।
পর্ষদ জানিয়েছে, যে পাঁচটি বইয়ের নতুন সংস্করণ বেরোচ্ছে, ২০১৭ সালের পরে সেই পাঁচটি বিষয়ের বই রিভিউ বা পরিমার্জন হয়নি। অন্তত ১০০-র বেশি প্রকাশক ওই পাঁচটি বিষয়ের বই পরিমার্জন করে নতুন বই প্রকাশ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে বইগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বইগুলো পরিমার্জন করিয়ে প্রয়োজনে পরিবর্তন করার
কথাও বলা হয়। সেই পরিমার্জনের কাজ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে টেক্সট বুক (টিবি) নম্বর দিয়ে ওই পাঁচটি বইয়ের নতুন সংস্করণকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, “নতুন টিবি নম্বর পাওয়া নবম ও দশমের ওই পাঁচটি বিষয়ের বই বুক লিস্টে রাখতে হবে বলে আমরা স্কুলগুলোকে বলেছি। পড়ুয়ারা যখন বাজার থেকে বই কিনবে, তখন যেন তারা নতুন টিবি নম্বর দেখে কেনে।”
আজ, শিক্ষার্থী সপ্তাহ-র শুরুর দিন বই বিতরণ বাদেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন দিনগুলোতে নতুন ক্লাসে পড়ুয়াদের অভার্থনা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের বৈঠক, পড়ুয়াদের মধ্যে কুইজ়, বিতর্ক, গল্প বলা প্রতিযোগিতা, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, পোস্টার তৈরি, স্কুল পরিষ্কার নিয়ে সচেতনতা-সহ নানা কর্মসূচি রাখার কথা বলেছে শিক্ষা দফতর। ২ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি এই কর্মকাণ্ড চলবে। স্কুল শুরুর পরে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এরকম নানা কর্মসূচি স্কুলগুলোকে করতে হবে।