প্রথম বর্ষের আবাসিক পড়ুয়াদের জন্য নয়া সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। —নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বার প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে রাখা হবে বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবারের বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এই তথ্য জানিয়েছেন। বস্তুত, গত ৯ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ‘দুর্ঘটনা’র পরই প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের মেন হস্টেল থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ‘নিউ বয়েজ় হস্টেল’-এ রয়েছেন প্রথম বর্ষের আবাসিকেরা। তাঁদের সেখানেই রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউসিজি)-এর বিধি মেনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা সাজানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার র্যাগিং বিরোধী বিষয়ে আলোচনায় বসেন কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকের পর অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য জানান, এ বার ক্যাম্পাসে নজরদারিতে থাকবে সিসি ক্যামেরা, আরএফআইডি এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। ইতিমধ্যে ভূগোল এবং গণিত বিভাগের কক্ষে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেট এবং হস্টেলের গেটগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। পাশাপাশি করিডোরেও সিসি ক্যামেরা রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, র্যাগিং রুখতে প্রথম বর্ষের ঘর বরাদ্দের ক্ষেত্রেও ইউজিসি-র বিধি মেনে চলা হবে বলে বৈঠকের পর জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য।
সোমবারের বৈঠকের পর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরা বসছেই। তিনি জানান, প্রত্যেক ভবনের ‘এন্ট্রি পয়েন্টে’ সিসি ক্যামেরা থাকবে। তা ছাড়া করিডোরে সিসি ক্যামেরা রাখা যায় কি না, আলোচনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ‘লগবুক’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ, বাইরের কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে হলে ওই ‘লগবুকে’ নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তা ছাড়া হস্টেলের আবাসিকদের জন্য আলাদা করে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে যাঁদের কাছে ওই পরিচয়পত্র থাকবে, তাঁরা সেটি নিরাপত্তারক্ষীকে দেখিয়ে হস্টেলে প্রবেশ করবেন। বাকিদের ক্ষেত্রে ‘লগবুকে’ নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তারও কয়েকটি গাইডলাইন থাকবে বলে জানাচ্ছেন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘কারা এই লগবুকের সাহায্যে এন্ট্রি পাবেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’’