ফিরহাদ হাকিম এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্ল মঙ্গলবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব ছেড়েছেন। ভাস্কর ভট্টাচার্যকে নতুন সভাপতির দায়িত্ব দিয়েও নিশ্চিন্ত হতে পারলেন না শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার তাই আবারও হাওড়া জেলা তৃণমূলের ভার দেওয়া হল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন ববি। ফোনে তাঁর সঙ্গে রাজীবের বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয় বলে খবর। তাঁকে যাবতীয় অভিমান ভুলে দলের হাল ধরতে অনুরোধ করেন ববি। তবে সূত্রের খবর, রাজীবের মন গলাতে পারেননি তিনি।
হাওড়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দীর্ঘদিন সামলেছেন ববি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রীর পাশাপাশি ডোমজুড়ের বিধায়ক। হাওড়া জেলা রাজনীতিতে তিনি প্রভাবশালীও বটে। তাই ‘জেলা দেখা’র দায়িত্ব পেয়েই রাজীবকে ফোন করেন তিনি। এর আগে রাজীবের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি এখনও।
লক্ষ্ণীরতন শুক্ল মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ‘অভিমানি’ সুর শোনা গিয়েছে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী ও বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার গলাতে। তাই সভাপতি পদে নতুন মুখ এনেও ভরসা পায়নি দল। গত বছরের ২৩ জুলাই সাংগঠনিক রদবদলের সময় পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়া হলেও, সেই ভার দিয়েই হাওড়ায় পাঠানো হয়েছে কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ববিকে। যদিও, ববির পদের নাম পর্যবেক্ষক হবে না বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতা-ধনখড় সাক্ষাৎ, নববর্ষ টুইট মুছে নতুন টুইট করলেন রাজ্যপাল