সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের এমন নির্দেশ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে থাকলেও তাঁর কথা থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন কুণাল যেন দায় ঠেলে দিচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর দিকে।
কুণালের মন্তব্য খারিজ করে সতীর্থ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাশে দাঁড়ালেন ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
এসএসসি বিতর্কে কুণাল ঘোষকে মান্যতা না দিয়ে সতীর্থ শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান শেষে এসএসসি নিয়ে সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণালের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় কলকাতার মেয়রকে। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী, নেতা অন্যায় করেননি। অন্যায় করেন না। এখানে অন্যায় হয় না। যদি কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়, সে ক্ষেত্রে তদন্ত হতে পারে। পার্থদার মতো একই মন্ত্রিসভার সদস্য আমিও। যদি কোনও কিছু হয়ে থাকে, তা হলে তার দায় যতটা পার্থদার, ততটা আমারও। এটা আমাদের যৌথ পরিবার। আমরা কারও একার ঘাড়ে দায়িত্ব ঠেলে দিতে পারি না।’’
সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের এমন নির্দেশ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে থাকলেও তাঁর কথা থেকে অনেকেই মনে করেছিলেন কুণাল যেন দায় ঠেলে দিচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর দিকে।
কুণাল সে সময় বলেছিলেন, ‘‘যে ধরনের কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসছে, তার একটিও ব্রাত্য বসুর জমানায় নয়। এই জমানায় ৯৯ শতাংশ কাজ ঠিকঠাক হয়। যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে যা যা করার তিনি সব করে দিয়েছেন। এর পরেও কিছু থাকলে সেটা প্রশাসনিক বিষয়, আমার জানার কথা নয়।’’ এর পরেই কুণাল বলেন, ‘‘দলের মহাসচিব তথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিস্তারিত বুঝিয়ে বলতে পারবেন।’’ তাই স্বাভাবিকভাবেই ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হয় এর ফলে কি দলের অভ্যন্তরের আড়াআড়ি বিভাজন প্রকাশ্যে চলে এল?
জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কোনও আড়াআড়ি ভাঙন নয়। কুণাল মন্ত্রিসভার সদস্য নন। আমাদের সব দায়িত্ব যৌথ। আমি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য। পার্থদাও মন্ত্রিসভার সদস্য। তাই বিষয়টা পার্থদার একার নয়।’’ সতীর্থ শিল্পমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘এত বড় মন্ত্রিসভা। কোথায় কী ঘটছে, সব মন্ত্রীর পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমিও কলকাতা পুরসভা দায়িত্বে। কিন্তু অ্যাসেসমেন্টের কোথায় কে ঘুষ নিচ্ছে, তা আমার জানা সম্ভব নয়। কোথায় বেনিয়ম হচ্ছে, কোথাও ভুয়ো লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, তা আমাদের পক্ষে সব সময় জানা সম্ভব হয় না। পার্থদার সঙ্গেও এই বিষয়টির কী সম্পর্ক রয়েছে?’’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিষয়টিতে কোনও কিছু থাকলে হয় বিভাগীয় তদন্ত হবে। না হলে যে সংস্থা তদন্ত করছে, তারা এ বিষয়টি দেখবে।’’
ফিরহাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘ফিরহাদ হাকিম সিনিয়র নেতা। ওঁর কথাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি দলের কারও উপর দায় চাপাইনি।’’