FirhadHakim

এক কাঠার কম জমিতেও বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেবে কলকাতা পুরসভা, তবে মানতে হবে শর্ত

পুর এলাকায় ছোট জমির ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছিল দিন কয়েক ধরেই। এ বার সেটাই বাস্তবায়িত করার পথে পুরসভা। এই সিদ্ধান্তের কথা নিজেই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৪
Share:
ফিরহাদ হাকিম।

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

জমির পরিমাণ এক কাঠার কম হলেও চিন্তা নেই। ছোট জমিতেও বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেবে কলকাতা পুরসভা। তবে অবশ্যই মানতে হবে শর্ত। শুক্রবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ভিতের উপর নির্ভর করবে কত তলা বাড়ি হবে।

Advertisement

পুর এলাকায় ছোট জমির ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছিল দিন কয়েক ধরেই। এ বার সেটাই বাস্তবায়িত করার পথে পুরসভা। এই সিদ্ধান্তের কথা নিজেই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ। তিনি জানান, শুক্রবার পুরসভার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ১০ ছটাক জমিতে নূন্যতম টাকায় বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জমির পরিমাণ আধ কাঠার সামান্য বেশি। শুক্রবার ফিরহাদ জানান, তিন কাঠা অবধি জমির ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে বিল্ডিংয়ের ‘প্ল্যান’ না-পেলে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। কলকাতাবাসীর উদ্দেশে মেয়রের আবেদন, ‘‘আইনত ভাবে সমস্ত কিছু করুন।’’

Advertisement

শহরের সৌন্দর্যায়নের দিকেও নজর রাখার কথা বলেছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, ‘‘যত্রতত্র পানের পিক ফেলা যাবে না। শহরকে পরিষ্কার রাখার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।’’ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ‘পানের পিক না ফেলার’ আবেদন জানিয়ে বাংলায় বোর্ড দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে হিন্দি এবং ইংরেজিতেও বোর্ড দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র।

অন্য দিকে, প্রোমোটিং নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের কথাও শোনা গিয়েছে ফিরহাদের গলায়। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে শুভাশিস দত্ত নামে এক ব্যক্তি ফোন করে মেয়রকে জানান, তাঁর জমি স্ট্যাম্প পেপারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে অন্য কেউ প্রোমোটিং করছে। ৩০০ স্কোয়্যার ফুট জমি অ্যাসেসমেন্ট করেননি তিনি। যা শুনে মেয়র বলেন, ‘‘এই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তা হলে তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্মীর পেনশন আটকে দেবে। পুর কমিশনারের অধীনে এবং ভিজিল্যান্স বিভাগের পরিচালনায় এই তদন্ত হবে।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই ধরনের লোক যদি কলকাতা পুরসভায় থাকেন, তবে কখনই তো দুর্নীতি বন্ধ হবে না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement