TMC

ধর্না নিয়ে তর্জা বিজেপি এবং তৃণমূলের

যাঁরা ধর্নায় বসেছিলেন, তাঁরাও ‘তৃণমূল যোগ’-এর দাবি উড়িয়ে লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়েই কাজ করেছেন বলে পাল্টা দাবি করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৩:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

ট্রেনে শিশুমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্না দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার কিছু যুবক। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

Advertisement

শনিবার পুরুলিয়ায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘আমাদের সাংসদের বাড়ির সামনে তৃণমূল কিছু দুষ্কৃতী পাঠিয়েছিল। এর পরে যদি তৃণমূল এমন কাণ্ড করে, তা হলে ওদের সব নেতার বাড়ির সামনে আমাদের লোক ধর্নায় বসে যাবে।’’

তবে লোক পাঠানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। যাঁরা ধর্নায় বসেছিলেন, তাঁরাও ‘তৃণমূল যোগ’-এর দাবি উড়িয়ে লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়েই কাজ করেছেন বলে পাল্টা দাবি করেছেন।

Advertisement

পুরুলিয়ার জয়পুরের রোপো পঞ্চায়েতের বালি গ্রামের দিলদার আনসারি কেরলের কাসারগোড়ে একটি কারখানায় কাজ করতেন। ফেরার ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেনে অসুস্থ হয়ে তাঁর ১৮ দিনের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সহযোগিতা না পাওয়ার দাবি করেন তিনি।

বুধবার ট্রেন খড়্গপুরে আসার পরে শোরগোল পড়ে যায়। পরে পরিবারটিকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ একটি বয়ানে সই করানোর অভিযোগ ওঠে রেলের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল ও কংগ্রেস। বিজেপির সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও জানিয়েছিলেন, তিনি ঘটনার তদন্ত দাবি করছেন।

এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে শহরের কয়েক জন যুবক পুরুলিয়া শহরের রাঁচী রোডে সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্না দেন।

ওই যুবকদের অন্যতম তুষার অগস্তি শনিবার বলেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছি। সাংসদকে জেতানোর জন্য গ্রামে-গ্রামে ঘুরেছি। তৃণমূল সেখানে পাঠায়নি। বিজেপি গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলে। এ দিকে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমাদের তৃণমূলের-দুষ্কৃতী বলে দাগিয়ে দিচ্ছে।’’

বিজেপির জেলাসভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী অবশ্য বলছেন, ‘‘ভোটে নেতাদের সঙ্গে অনেকেই ঘোরেন। তাতেই তাঁরা বিজেপির লোক হয়ে যান না। আমরা এখনও মনে করি, তৃণমূল এই ব্যাপারে কলকাঠি নেড়েছে।’’

পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের বরিষ্ঠ সহসভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘যত দূর জানি, যাঁরা কাল সাংসদের বাড়ির সামনে প্রতীকী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা কিছু দিন আগে পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরই ছিলেন। এই ঘটনার পরে তাঁদেরও মনে হয়েছে, প্রতিবাদ করাটা দরকার। তাই সরব হয়েছেন। বিজেপি এখন সবেতেই তৃণমূলের ভূত দেখছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement