Birth Certificate

রাস্তার ধারে পড়ে জন্মের শংসাপত্র

রাজনীতির লোকজনেরা একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সকালে রাস্তায় বার হয়ে দেখেন পথের পাশে ছড়িয়ে আছে প্রচুর সরকারি কাগজ। ভাল করে দেখে বুঝতে পারেন, এ সবই জন্মের শংসাপত্র। সব মিলিয়ে হাজারখানেক পড়ে আছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। স্থানীয় সরকারি চেকপোস্টের কর্মীদের হাতে তা তুলে দেন রায়গঞ্জ থানার তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দা অতুল বর্মণ এবং তাঁর পড়শিরা। সেই কর্মীরা কাগজগুলি থানায় পৌঁছে দেন। সরকারি সূত্রে খবর, শংসাপত্রগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের। বেশিরভাগেরই ঠিকানা মালদহের চাঁচল থানা এলাকার। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, শংসাপত্রগুলি আসল।

Advertisement

পরে অতুল বলেন, ‘‘প্রায় আধ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়েছিল এই শংসাপত্রগুলি। যেটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে, অনেকেরই জন্ম ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে।’’ অন্য জেলার শংসাপত্র কে বা কারা এনে এ ভাবে ছড়িয়ে ফেলতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, তদন্তের স্বার্থে খুব শীঘ্রই সেই সব শংসাপত্র মালদহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

রাজনীতির লোকজনেরা একে অন্যের দিকে আঙুল তুলেছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল আচার্যের দাবি, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে এই শংসাপত্রগুলি লোপাট করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও ভাবে তা হয়তো রাস্তার ধারে পড়ে যায়।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর পাল্টা দাবি, ‘‘সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলের নেতারা তাঁদের জন্মের শংসাপত্র সংগ্রহ করে ওই এলাকায় ফেলেছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement