হাওড়া স্টেশনে প্রসব করলেন বিহারের বধূ। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া স্টেশনে প্রসবযন্ত্রণায় কাতর এক বধূকে দেখে সাহায্যে এগিয়ে এলেন আরপিএফের কর্তব্যরত ‘মেরি সহেলি’ দলের সদস্যরা। তাঁদের সহায়তায় স্টেশন চত্বরেই প্রসব করলেন বিহারের এক ওই বধূ। শুক্রবার এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৮ বছরের ওই তরুণী। বধূকে যথাসময়ে সাহায্য করায় রেল কর্তৃপক্ষের প্রশংসা কুড়োচ্ছেন ‘মেরি সহেলি’ দলের সদস্যরা।
রেল সূত্রে খবর, বিহারের গয়া জেলার ফতেপুর ব্লকের ভরে গ্রামের বাসিন্দা সোনমন্তী দেবী শুক্রবার রাতে তাঁর মায়ের সঙ্গে ডাউন জসবন্তপুর এক্সপ্রেসে করে হাওড়ায় আসেন। ট্রেনে থাকাকালীনই প্রসবযন্ত্রণা হচ্ছিল তাঁর। রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ১৪ নম্বর প্লাটফর্মে ওই ট্রেনটি এলে স্টেশনে নেমে অসুস্থ বোধ করেন সোনমন্তী। সে সময় হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের প্ল্যাটফর্মে কর্তব্যরত ছিলেন এইচডব্লিউসি পোস্টের আরপিএফ আধিকারিক এবং ‘মেরি সহেলি’ টিমের সদস্যরা। ওই বধূকে দেখামাত্রই সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সে খবর জানান হাওড়া ডেপুটি স্টেশন ম্যানেজারকে। এর পর সোনমন্তীকে স্টেশনের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে প্ল্যাটফর্মে ছুটে আসেন চিকিৎসকরা। ওই জায়গায় বধূকে কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখেন ‘মেরি সহেলি’ টিমের সদস্যেরা। তাঁদের সহায়তায় প্রসব করেন সোনমন্তী দেবী। রাতে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
প্রসবের পর মা ও শিশুকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে নবজাতক এবং তার মা, দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এই কাজের জন্য তারিফ কুড়োচ্ছেন আধিকারিক রাজকিরণ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘মেরি সহেলি’ টিমের রূপা কুমারী, পূজা কুমারী, সুইটি কুমারী এবং অনিতা নস্কররা।