Krishak Bandhu Scheme

কৃষকবন্ধুর জন্য দিতে হচ্ছে ৮০ হাজার! অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে বহু মৃত কৃষকের পরিবার

জনস্বার্থ মামলায় মৃত কৃষক পরিবারের সদস্যরা মুর্শিদাবাদের রানিনগর-১, ডোমকল, বহরমপুর বিডিও অফিসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০৬
Share:

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা পেতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ মৃত কৃষকদের পরিবার। —ফাইল ছবি।

রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা মিলছে না! আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। আগাম ৪০ শতাংশ টাকা চাওয়া হচ্ছে। জেলার একাধিক বিডিও অফিসে কাজ করছে ‘দালালচক্র’। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। এমনই সব অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃত ২২ জন কৃষকের পরিবারের সদস্য। তাঁরা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

Advertisement

গত লোকসভা ভোটের আগে কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প অনুসারে, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা। মুর্শিদাবাদের মৃত ২২ জন কৃষক পরিবারের অভিযোগ, আবেদন জমা দিতে গেলে তা সরাসরি গ্রহণ করছে না বিডিও অফিস। সেখানে বলা হচ্ছে, তৃতীয় কোনও পক্ষ (থার্ড পার্টি) মারফত আবেদন জানাতে। মামলকারীদের বক্তব্য, তৃতীয় পক্ষের দ্বারা আবেদন করতে গেলে আগাম ৪০ শতাংশ অর্থাৎ, ৮০ হাজার টাকা করে কাটমানি চাওয়া চলছে। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন বিডিও অফিসে এই চক্র কাজ করছে বলে তাঁদের দাবি।

Advertisement

জনস্বার্থ মামলায় মৃত কৃষক পরিবারের সদস্যরা মুর্শিদাবাদের রানিনগর-১, ডোমকল, বহরমপুর বিডিও অফিসের দিকে আঙুল তুলেছেন। এই দফতরগুলিকে মামলায় যুক্ত করাও হয়েছে। মামলকারীদের আইনজীবী তন্ময় বসু বলেন, ‘‘মৃত কৃষকদের পরিবারকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আবেদন গ্রহণের জন্য তাঁদের কাছে প্রচুর টাকা চাওয়া হচ্ছে। যা দিতে এই পরিবারগুলি অক্ষম। তাই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারের দেওয়া প্রাপ্য আদায় করতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement