খাতায়-কলমে জানানো হয়েছিল, আমদানি করা হচ্ছে চুলের ক্লিপ, ছোট আলো, বাচ্চাদের পোশাক এবং ব্র্যান্ডেড নয়, এমন সাধারণ জুতো। এই সব সামগ্রীর জন্য আমদানি শুল্ক দিতে হয় তুলনায় অনেক কম।
কিন্তু চিন ও হংকং থেকে আসা বাক্স খুলতেই বেরিয়ে এল এমন সব সামগ্রী, যা আমদানি করার জন্য অনেক বেশি শুল্ক দেওয়ার কথা। তার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের লাখ পাঁচেক দামি অন্তর্বাস, নামী ব্র্যান্ডের ২০ হাজার দামি বিদেশি জুতো, ১০ হাজার কম্বিনেশন তালা, ৮০ হাজার মোটরবাইকের চেন এবং মাসাজ চেয়ার। সোজা পথে এই সব সামগ্রী আমদানি করতে হলে বিশাল অঙ্কের শুল্ক দেওয়ার কথা।
আমদানি করার সময়ে চুলের ক্লিপ-সহ বিভিন্ন সামগ্রীর যে-দাম দেখানো হয়েছিল, আমদানি করা মোটরবাইকের চেন এবং অন্যান্য জিনিসের দাম তার চেয়ে ৮০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। সম্প্রতি কলকাতা বন্দর থেকে প্রায় ১৮ কোটি টাকার এই ধরনের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। তাদের দাবি, কয়েক জন অসাধু ব্যবসায়ী ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে কাস্টমস এজেন্টদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশে এ ভাবে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার ছক কষেছিলেন।
যে-সংস্থার নাম করে ওই সব জিনিস আমদানি করা হয়েছিল, তার কর্তা ও এজেন্ট মিলিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শৈলেন্দ্র সিংহ, সঞ্জয় অগ্রবাল, মুকেশ কুমার ও লক্ষ্মণ দাস নামে ওই চার জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে ডিআরআই-এর আইনজীবী তাপস বসু তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন। মুকেশ ও লক্ষ্মণ জামিন পেয়ে গেলেও বাকি দু’জনকে জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।