Mamata Banerjee

নজরে ২০২১, তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল, ঘর গোছালেন মমতা

জেলায় সাংগঠনিক কাজ দেখভালে পর্যবেক্ষক নিয়োগ আর নয়। স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা এ বার জেলায় নজর দেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ২০:৩৯
Share:

দলকে ঢেলে সাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব্যাপক রদবদল হল তৃণমূলের সাংগঠনিক কাঠামোয়। ভার্চুয়াল বৈঠকে বৃহস্পতিবার গোটা দলকে প্রায় ঢেলে সাজালেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকগুলি জেলাতেই সভাপতি বদলে দেওয়া হল। তবে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্দরমহলটা পুরোপুরি গুছিয়ে নেওয়াই যে হেতু লক্ষ্য এই রদবদলের, সে হেতু দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হতে দিতে চাননি নেত্রী। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপসারিত জেলা সভাপতিদের বসানো হয়েছে জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদে। বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক কাজ দেখভালের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগের প্রথা এ দিন তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্তরের সমন্বয় কমিটির মাথায় যে স্টিয়ারিং কমিটি বসানো হয়েছে, তার সদস্যরাই বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক কাজের উপরে নজর রাখবেন বলে তৃণমূলে সূত্রে জানানো হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূল যুব কংগ্রেসেও এ দিন ব্যাপক রদবদল হয়েছে। সভাপতি পদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই রেখেছেন মমতা। তার পরে অভিষেক নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছেন। ঘোষণা করেছেন জেলা সভাপতিদের নামও।

এ বারে যে রদবদল তৃণমূলে হল, তেমন ব্যাপক রদবদল খুব বেশি দেখা যায়নি ২০১১-র পর থেকে। তৃণমূলের পরামর্শদাতা তথা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) পরামর্শের ছাপ এই রদবদলে স্পষ্ট বলে মনে করছেন তৃণমূলেরই অনেকে। দলে প্রবীণ-নবীন এবং নতুন-পুরনোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার নীতিতে বিশ্বাসী পিকে। তৃণমূলে যে হেতু উপদলীয় কার্যকলাপ ভাল রকমই রয়েছে, সে হেতু কোনও একটি গোষ্ঠীর একচ্ছত্র প্রভাব পিকে-র পছন্দ নয়। তাতে অন্য গোষ্ঠী কোণঠাসা এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বলে তৃণমূলের পরামর্শদাতা মনে করেন। তাই দলে সব গোষ্ঠীরই সমান অংশীদারিত্ব রাখার পরামর্শই তিনি প্রথম থেকে দিচ্ছেন বলে খবর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পিকের সখ্য এবং পিকের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থার কারণে এ বার সেই পরামর্শই গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। জেলায় জেলায় সভাপতি পদের পাশাপাশি চেয়ারম্যান পদও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে সব অংশের সমান্তরাল প্রভাব নিশ্চিত করতে, বলছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

তৃণমূলের অনেকেই অবশ্য বলছেন, জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদটি আলঙ্কারিক, সভাপতির হাতেই আসল ক্ষমতা। সুতরাং চেয়ারম্যান পদে থাকা ব্যক্তি সভাপতির সমান্তরাল গুরুত্ব বা ক্ষমতার অধিকারী হবেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই বলে তৃণমূলের ওই অংশ দাবি করছে। তবে পদ আলঙ্কারিক হলেও আসলে এর মাধ্যমে সব গোষ্ঠীকে দলীয় কাঠামোয় গুরুত্ব দিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তৃণমূলের অন্য অংশ মনে করছে। তাঁদের মত, চেয়ারম্যান পদ তৈরি করার এই সিদ্ধান্ত দলের পক্ষে ইতিবাচকই হবে।

আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রীকে দায়ী করে মারধর, চুল কেটে দিলেন প্রতিবেশীরা

যে সব জেলায় বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাই। কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে। ওই পদে আনা হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ তথা তরুণ মুখ পার্থপ্রতিম রায়কে। জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিনয় বর্মণকে। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে কানাইয়ালাল আগরওয়ালকেই রেখে দিয়েছেন মমতা, তবে প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যকে দেওয়া হয়েছে জেলার চেয়ারম্যান পদ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তাঁকে অবশ্য জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন পদে পুনর্বাসনও দেওয়া হয়নি। দক্ষিণ দিনাজপুরের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীকে। জেলা সভাপতি করা হয়েছে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাসকে।

দক্ষিণবঙ্গে পরিবর্তনের সংখ্যা আরও বেশি। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানকেই রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে সুব্রত সাহাকে চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। কোঅর্ডিনেটর পদে বসানো হয়েছে চার জনকে— জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, ডোমকলের প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন, অধীর চৌধুরীর শ্যালক অরিত মজুমদার এবং এককালে অধীরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত থাকা অশোক দাস।

আরও পড়ুন: লকডাউনে সুনসান শহর, রাতভর শিলিগুড়ির রাস্তায় টহল দিল হাতির দল

নদিয়াকে আগে দুটো সাংগঠনিক জেলায় ভেঙে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর। এ বারের রদবদলে ওই দুই ভাগকে আবার জুড়ে দেওয়া হল। এত দিন কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব যিনি সামলাচ্ছিলেন, সেই সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে জেলা সভাপতি করা হল। চেয়ারম্যান করা হল মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে। বীরভূম জেলায় তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলে অনুব্রত মণ্ডলের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এত দিন। জেলা সভাপতি হিসেবে গোটা জেলার তৃণমূলে তিনিই ছিলেন শেষ কথা। এক সময়ে বীরভূম তৃণমূলের অন্দরে অনুব্রতর ঘোষিত প্রতিপক্ষ ছিলেন যিনি, সেই আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরে অনুব্রতর কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিলেন। এ বারের রদবদলে অনুব্রতকেই সভাপতি পদে পুনর্বহাল করা হল। কিন্তু আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন যে অভিজিৎ সিংহ, তাঁকে সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে। তিনি হাঁসন, মুরারই, নলহাটি, রামপুরহাট, সিউড়ি, লাভপুর ও দুবরাজপুর এলাকা দেখবেন। বোলপুরের সাংসদ অসিত মালকেও কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে। তিনি দেখবেন বোলপুর, নানুর, সাঁইথিয়া ও ময়ূরেশ্বর।

বাঁকুড়ার চেয়ারম্যান হয়েছেন শুভাসিস বটব্যাল, সভাপতি শ্যামল সাঁতরা। ঝাড়গ্রামের সভানেত্রী পদ থেকে বীরবাহা সরেনকে সরিয়ে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। নতুন সভাপতি দুলাল মুর্মু। পশ্চিম বর্ধমানে চেয়ারম্যান মলয় ঘটক, সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, পূর্ব বর্ধমানে চেয়ারপার্সন মুমতাজ সঙ্ঘমিতা, সভাপতি স্বপন দেবনাথ, পশ্চিম মেদিনীপুরে চেয়ারম্যান দীনেন রায়, সভাপতি অজিত মাইতি। পূর্ব মেদিনীপুরে অবশ্য চেয়ারম্যান এবং সভাপতি দুই পদেই শিশির অধিকারী। তবে কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে শিশিরের ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত অখিল গিরিকে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে করা হয়েছে চেয়ারম্যান। নতুন সভাপতি গুরুপদ টুডু।

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলোতেও উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সভাপতির পদও আপাতত তিনিই সামলাবেন। কোঅর্ডিনেটর নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, অতীন ঘোষ, জীবন সাহা। দক্ষিণ কলকাতার চেয়ারম্যান করা হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সভাপতি দেবাশিস কুমার। কোঅর্ডিনেটর রত্না শূর ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেই রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে এত দিন জেলার পর্যবেক্ষক পদে থাকা নির্মল ঘোষকে বসানো হয়েছে চেয়ারম্যান পদে। আর জেলায় পাঁচ জন কোঅর্ডিনেটরের হাতে জেলার পাঁচটি অংশের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, জেলা পরিষদের প্রভাবশালী কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভাপতি পদে শুভাশিস চক্রবর্তীই রয়েছেন। চেয়ারম্যান করা হয়েছে সি এম জাটুয়াকে।

হাওড়ার (শহর) রদবদল চমকে দিয়েছে অনেককেই। মন্ত্রী তথা জেলার রাজনীতির হেভিওয়েট অরূপ রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতি পদ থেকে। তাঁকে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়েছে। নতুন সভাপতি হয়েছে আর এক মন্ত্রী তথা তরুণ মুখ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোঅর্ডিনেটর করে একটি অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব, চেয়ারপার্সন রত্না নাগ।

তৃণমূলের যে রাজ্য কমিটি এ দিন ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে প্রবীণ-নবীন ভারসাম্যের ছাপ স্পষ্ট। সভাপতি এবং মসাহচিব পদ অপরিবর্তিত— যথাক্রমে সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অমিত মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, শিশির অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী, তাপস রায়, জাভেদ খান, শঙ্কর সিংহ, অসীমা পাত্রদের মতো প্রবীণ বা পুরনো নেতানেত্রীদের আনা হয়েছে সহ-সভাপতি পদে। সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাসদের মতো হেভিওয়েটদের রাখা হয়েছে। সম্পাদক হিসেবে কমিটির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১১ জন। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন রয়েছেন, তেমনই ঠাঁই পেয়েছেন মালদহে এত দিন কোণঠাসা হয়ে থাকা নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। উল্লেখযোগ্য ভাবে সম্পাদক করা হয়েছে ছত্রধর মাহাতোকেও।

সাংগঠনিক কাজ দেখভালের জন্য এ দিন ২১ জনের একটি সমন্বয় কমিটি গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির মধ্যে থেকে ৭ জনকে নিয়ে আবার স্টিয়ারিং কমিটিও তৈরি হয়েছে। সেই ৭ জন হলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং শান্তা ছেত্রী। রাজ্য স্তরে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী কমিটি হতে চলেছে এটিই। পর্যবেক্ষক পদ উঠে যাওয়া জেলা স্তরের সাংগঠনিক কার্যকলাপেও নজর রাখবে এই স্টিয়ারিং কমিটিই। সুতরাং এই ৭ জনের কমিটিতে যাঁরা জায়গা পেলেন, তৃণমূলের সাংগঠনিক কাঠামোয় এখন তাঁরাই যে সবচেয়ে প্রভাবশালী, তা নিয়ে আর কোনও সংশয় রইল না। যে সব হেভিওয়েট নাম এই কমিটির বাইরে থাকল, তাঁদের গুরুত্ব যে কমেছে, তা বলাই বাহুল্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন বিভিন্ন জেলা কমিটির সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছেন। ঘোষণা করেছেন রাজ্য কমিটিও। ৫ জন সহ-সভাপতির অন্যতম হয়েছেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। ১৫ জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য, বিধায়ক স্মিতা বক্সীর পুত্র সৌম্য বক্সী। সম্পাদক পদে এলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়।

যুব সংগঠনে জেলা স্তরে যে সব রদবদল হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে পার্থ ভৌমিকের অপসারণ। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন দেবরাজ চক্রবর্তী। উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে জীবন সাহাকে সরিয়ে সে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনিন্দ্যকিশোর রাউতকে। দক্ষিণ কলকাতার সভাপতি করা হয়েছে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে। শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে যুব তৃণমূলের সভাপতি যাঁকে করা হয়েছে, সেই পার্থসারথী মাইতি আবার জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের উল্টো শিবিরের হিসেবেই পরিচিত। তাই এই নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে সংগঠনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement