রবিবার শুরু হল প্রদর্শনী। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বিশ্বভারতীর কলাভবনের সাত দিকপালকে এক সুতোয় গেঁথে বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হল কলাভবনের নন্দন আর্ট গ্যালারিতে। রবিবার এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী যোগেন চৌধুরী, অধ্যাপক রমন শিবকুমার, মিতি দেশাই, ভাস্কর কে এস রাধাকৃষ্ণন, প্রাক্তন অধ্যাপক অরুণ পাল প্রমুখ। প্রদর্শনী সংক্রান্ত একটি পুস্তিকাও প্রকাশিত হয় এ দিন।
কলাভবনের শতবর্ষ উপলক্ষে এরই মধ্যে অনেকগুলি প্রদর্শনী হয়েছে নন্দন আর্ট গ্যালারিতে। এ বার কলাভবনের দিকপালদের নিয়ে সাদা-কালো ছবির মাধ্যমে প্রদর্শনীর আকারে তুলে ধরেছেন কে এস রাধাকৃষ্ণন। ওই সাত জন হলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, রামকিঙ্কর বেইজ, কে জি সুব্রামনিয়ান, সোমনাথ হোড়, শর্বরী রায়চৌধুরী। কলাভবনে এই সাত জনের বিভিন্ন সময় ও মুহূর্তের ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিল্পভূমির স্তম্ভ’। কলাভবন সূত্র জানানো হয়েছে, ওই সাত জন আক্ষরিক অর্থেই হলেন কলাভবন তৈরির স্তম্ভ। রবীন্দ্রনাথ ছাড়া বাকিদের মধ্যে অধিকাংশই কলাভবনের প্রাক্তনী তো বটেই, পরে শিক্ষকতাও করেছেন সেখানে। তাঁদের সৃষ্টি, সেই সময়কার কলাভবনের পরিবেশ, কাজের ধরন প্রভৃতি বিষয় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
এই প্রদর্শনী চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনী খোলা রাখা হচ্ছে সর্বসাধারণের জন্য। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছবিগুলো সংগ্রহ করেছেন রাধাকৃষ্ণন। যিনি নিজে কলাভবনের প্রাক্তনী এবং রামকিঙ্কর ও শর্বরী রায়চৌধুরীর ছাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘শুরু থেকে প্রায় ৬২ বছর পর্যন্ত সেই সময়কার নানা ছবি সংগ্রহ করে একটি প্রদর্শনীর রূপ দেওয়া হয়েছে। কলাভবনের শতবর্ষ উপলক্ষে আমার মনে হয়েছে, এর ইতিহাস নিয়ে ছবির মাধ্যমে এ রকম একটি প্রদর্শনীর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’’ নন্দন আর্ট গ্যালারির কিউরেটর অমিত দণ্ড বলেন, ‘‘কলাভবনের শতবর্ষে এ রকম একটি প্রদর্শনী বিশ্বভারতীর কাছে বড় পাওনা।’’