সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে শোভন। সঙ্গে বৈশাখী। —নিজস্ব চিত্র।
সারদা-কাণ্ডে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রায় দু’ঘণ্টা জেরা করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে সিবিআই দফতরে সকাল সাড়ে ১১টা পৌঁছন শোভন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে সারদা গোষ্ঠীর উত্থানের সময় শোভন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি যখন কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে, তখন সারদা গোষ্ঠীর বহু কোম্পানিকে বেহালায় একই ঠিকানায় লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কেন কলকাতা পুরসভা একই ঠিকানায় এতগুলো কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছিল?
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে সারদার উত্থানে কোনও রাজনৈতিক নেতার ভূমিকা ছিল কি না, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। এর সঙ্গে শোভনের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং সংস্থার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে সম্প্রতি বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতেই এ দিন শোভনকে জেরা করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ‘প্রেসিডেন্সিতে সবাই উচ্চবর্ণের, জেএনইউ-তে আমার জাতপাতের চেতনা, আর হার্ভার্ড শেখাল কঠোর পরিশ্রম’
এ দিন সকালে শোভন-বৈশাখী একই গাড়িতে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন। দু’জনের পরনেই ছিল গোলাপি পোশাক। শোভন গোলাপি রঙের জামা এবং বৈশাখী একই রঙের শাড়ি। বুধবার বিজেপি নেতা রাহুল সিংহের জন্মদিনের পার্টিতেও দু’জনকে সুবজ রঙের পোশাকে দেখা গিয়েছিল।