Mohan Bhagwat

আরএসএস দফতরে ফাইল হাতে প্রাক্তন ডিজি, সাক্ষাৎ ভাগবতের সঙ্গে

শনিবার ভারত চেম্বার অব কমার্সে রাজ্যের যুব শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন ভাগবত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে কলকাতায় রবিবার দেখা করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি তথা পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। এখন কমিশনের সদস্য তিনি। ঘণ্টা খানেক দু’জনের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে কী বিষয়ে ভাগবত ও নপরাজিতের কথা হয়েছে, তা নিয়ে আরএসএস-এর তরফে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। অন্য দিকে,বারবার চেষ্টা করা হলেও নপরাজিতের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছেন ভাগবত। আরএসএস সূত্রে খবর, বিশেষ সম্পর্ক অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার নপরাজিতের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল ভাগবতের। কিন্তু তার বদলে নপরাজিত নিজেই উত্তর কলকাতার অভেদানন্দ রোডে আরএসএস-এর রাজ্য সদর দফতর কেশব ভবনে চলে আসেন। সেই সময় তাঁর হাতে কয়েকটি ফাইল ছিল বলেও জানা গিয়েছে। আরএসএস-এর দাবি এই সাক্ষাৎ ছিল নিছকই সৌজন্যমূলক।

রবিবার সন্ধ্যায় নাকতলায় ধ্রুপদী সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের বাড়িতেও যান ভাগবত। এ ব্যাপারেও আরএসএসএর-এর তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে তেজেন্দ্রনারায়ণ জানিয়েছেন, প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ছিলেন ভাগবত। গোটা সময়টাই ধ্রপদী সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা হয়। ভাগবতের সামনে তেজেন্দ্রনারায়ণ ছাড়াও ছিলেন শিল্পীর স্ত্রী মানসী ও পুত্র ইন্দ্রায়ূধ। তেজেন্দ্রনারায়ণ জানিয়েছেন, ভাগবতের যে ধ্রুপদী সঙ্গীত বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে তা-ও লক্ষ করেছেন তিনি। তেজেন্দ্রনারায়ণ বলেন, ‘‘ভাগবত এসে সন্ধের কোনও রাগ পরিবেশন করতে বলেন। আমরা পুরিয়া কল্যাণ দিয়ে শুরু করি। থামতেই তিনি আরও রাগ শুনতে চান। এক ঘণ্টা থাকার কথা থাকলেও সেটা বেড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা হয়ে যায়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৭৫ লক্ষ চাকরি, প্রতিশ্রুতি বিজেপির, ‘ভাঁওতা’ বলছে তৃণমূল-বাম-কং

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বিজেপি সভাপতি নড্ডা, গেলেন নিভৃতবাসে​

Advertisement

শনিবার ভারত চেম্বার অব কমার্সে রাজ্যের যুব শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন ভাগবত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাগবতের এই সফর ও কর্মসূচিকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। তবে আরএসএস-এর দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য সঙ্ঘের বাৎসরিক অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। তার পরিবর্তেই এই বিশেষ সম্পর্ক অভিযান চলছে। যার অঙ্গ হিসেবে গোটা দেশেই বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন সঙ্ঘের শীর্ষ কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement