—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে এক মাস। তদন্তে নেমে ওই ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার-সহ ওই গাড়ির গার্ড এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালকের সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারেনি রেল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। তবে রাঙাপানি স্টেশনের ম্যানেজার এবং এক গেট ম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, সহকারী চালক মনু কুমার এখনও অসমের মালিগাঁও রেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের তলব করা হলেও তাঁরা হাজির হননি বলে অভিযোগ। তাঁরা যাতে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য জানান, সে জন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে রেল পুলিশের তদন্তকারী দল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাঙাপানি স্টেশনের ম্যানেজার অভিযোগ করেছেন, সিগন্যাল খারাপ থাকায় তিনি সব নিয়ম মেনেই ‘পেপার লাইন ক্লিয়ার’ দিয়েছিলেন মালগাড়ির চালককে। কিন্তু সিগন্যাল খারাপ থাকার জন্য যা-যা মেনে গাড়ি চালানো উচিত, তা ওই চালক মেনে চলেননি। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, স্টেশন ম্যানেজার যা বলেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাকিদের সঙ্গে কথা বলা গেলেই ওই বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে।
ঠিক এক মাস আগে গত ১৭ জুন কাটিহার ডিভিশনের রাঙাপানি ও চটের হাট স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়েছিল ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ওই সময় পিছন থেকে ধাক্কা দেয় দ্রুত গতির একটি মালগাড়ি। এই দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৫০ জন। ওই ঘটনায় এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মালগাড়ির দুই চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে রেল পুলিশের বিশেষ দল। ওই মামলাতেই মূল অভিযুক্ত মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার।