রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো না করার জন্য জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ই বহাল রইল। ছবি: সংগৃহীত।
কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রামাণ্য নথিতেই ছিল যে, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না। যে রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে জাতীয় পরিবেশ আদালতও একই কথা বলেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তাকে অস্বীকার করে অন্য নির্দেশ দেবে, এমনটা ভাবেননি অনেকেই। এমনকি, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র (কেএমডিএ) চেয়ারম্যান তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেছিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে যাবে না ধরে নিয়েই বিকল্প সব ঘাটে ছটপুজোর আয়োজন রাখছি। সেই সম্পর্কে পুণ্যার্থীদের সচেতনও করছি।’’
বাস্তবেও তেমনটাই হল অবশ্য। বৃহস্পতিবার কেএমডিএ-র আর্জি খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না। প্রথমে আগামী ২৩ তারিখ ছটপুজো মামলার শুনানির দিন ধার্য হলেও পরে কেএমডিএ-র তরফে জরুরি আবেদনে সাড়া দিয়ে এ দিন তার শুনানি রাখা হয়েছিল। এ দিনের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো না করার জন্য জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ই বহাল থাকবে। কেএমডিএ-র তরফে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, ‘‘রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত।’’
যার পরিপ্রেক্ষিতে এক পরিবেশবিদ বলছেন, ‘‘ছটপুজোর কারণে সরোবরের পরিবেশ কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টটি তো তার প্রামাণ্য নথি। ফলে রায়দানের ক্ষেত্রে সেই রিপোর্টকে যে শীর্ষ আদালত গুরুত্ব দেবে, তা কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল।’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘এটি পরিবেশের জয়! তবে শুধু এ বছর নয়, অন্য বছরেও যাতে এই রায় বহাল থাকে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’’ পরিবেশকর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’-এর সম্পাদক নব দত্ত বলছেন, ‘‘গত বছরও সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু তা অমান্য করেই পুজো হয়েছিল। এ বার যাতে সেটা না হয়, তা পুলিশ-প্রশাসনকে দেখতে হবে। না হলে রাজ্যের পক্ষে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে!’’
আরও পড়ুন: না’-কে ‘হ্যাঁ’ করার চেষ্টায় গচ্চা কত, প্রশ্ন
আরও পড়ুন: শেষ বেলায় ধরা পড়ল অকেজো নজর-চোখই