ফাইল চিত্র।
শিশুসন্তানদের ছেড়ে তিনি দিল্লি যেতে চান না বলে জানানোর পরে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে আইনি আলোচনা চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রের দাবি, কয়লা–কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে তারা কোনও বিবৃতি দেয়নি। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার মলয়বাবুর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে ১ সেপ্টেম্বর তাদের দিল্লি সদর দফতরে তলব করেছিল ইডি। ওই সংস্থার অফিসারদের দাবি, কয়লা পাচারের তদন্তের সূত্রে রুজিরার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু লেনদেনের বিষয়ে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কিছুই বলেননি তাঁরা। একই মামলায় সিবিআই রুজিরার ভবানীপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। এ বার ইডি তলব করায় তিনি চিঠি দিয়ে জানান, করোনায় বাড়িতে দুই সন্তানকে রেখে তাঁর পক্ষে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। বাড়িতে এসে তদন্তকারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
ইডি সূত্রের খবর, কয়লা পাচার মামলার সূত্রে চলতি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে অভিষেক এবং তিন আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। তবে অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে ডাকার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক পর্যায়ে অভিষেক-সহ তিন পুলিশকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি মেটার পরে রুজিরার আবেদনের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে।’’ আইনজীবী শিবিরের একাংশ জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনায় কোনও মহিলা তদন্তকারী সংস্থার অফিসে গরহাজির থাকার আবেদন জানালে বিবেচনা করতে হবে। সে-ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী আবেদনকারিণীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। ইডি-র এক কর্তা জানান, কলকাতায় তাঁদের আঞ্চলিক দফতরের কোনও অফিসার কয়লা পাচারের তদন্তে নেই। সে-ক্ষেত্রে দিল্লি থেকে অফিসার পাঠিয়ে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ভার্চুয়ালিও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।