সৈয়দ মির্জা ওরফে টাইগার।
নার্সিংহোমে নোটিস পাঠিয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে আজ, বৃহস্পতিবার তলব করেছে সিবিআই। সেই ইকবালেরই সহযোগী সৈয়দ তারজাদা মির্জা ওরফে টাইগারকে ডেকে পাঠাল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
অভিযোগ, স্টিং অপারেশন চলাকালে এই টাইগারই পুরকর্তা ইকবালের সঙ্গে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের আলাপ করিয়ে দেন। এবং তার বিনিময়ে ম্যাথুর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকাও নেন। তিনিই ম্যাথুকে শাসক দলের কয়েক জন নেতা ও মন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান। সব মিলিয়েই নারদ-কাণ্ডের তদন্তে টাইগারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাঁকে সাত দিনের মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সিবিআই এবং ইডি সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় ইকবাল, টাইগার এবং ইসমাইল নামে এক ট্যাক্সিচালকের সহযোগিতায় স্টিং অপারেশন চালান ম্যাথু। ইডি-র তদন্তকারীদের বক্তব্য, ম্যাথুর বয়ানের ভিত্তিতে ইকবাল, টাইগার ও ইসমাইল— এই তিন মূর্তির কার্যকলাপ নিয়ে তদন্ত চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। স্টিং অপারেশনে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে রাজ্যের শাসক দলের কিছু নেতে-মন্ত্রী টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কোন নেতা বা মন্ত্রীর কাছ থেকে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নগদ টাকার লেনদেন হয়েছিল, তিন মূর্তিকে জেরা করে তা জেনে নিতে চাইছে ইডি।
নারদ-কাণ্ডে ইডি-র তরফে এর আগে ইকবালকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। বুধবারেই ইডি-র অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য ইকবালের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার জন্য তিনি এ দিন ইডি-র দফতরে হাজির হতে পারছেন না বলে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন ওই পুরকর্তা।
সিবিআই আজ, বৃহস্পতিবার তাদের কলকাতা অফিসে ইকবালকে তলব করেছে। ডেপুটি মেয়র এই মুহূর্তে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার ফের হাজিরা এড়াতে পারেন ইকবাল।