Enamul Haque

এনামুলের অন্তর্বর্তী জামিন, জেরায় হাজিরার নির্দেশ 

সিবিআই জানাচ্ছে, চাল রফতানির নামে একাধিক সংস্থা মারফৎ টাকা বিদেশে পাঠানো হত। একইভাবে বিদেশ থেকে টাকা এদেশে আসত বলে দাবি তদন্তকারীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী এনামুল হক। সিবিআইয়ের আবেদন মেনে বিশেষ আদালত ট্রানজিট রিমান্ড দেওয়ার পরিবর্তে এনামুলকে সোমবার কলকাতার সিবিআই দফতরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে গ্রেফতারির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এনামুল অস্থায়ীভাবে জামিন পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে সিবিআইয়ের গরু পাচার তদন্ত ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

Advertisement

সংস্থা সূত্রের খবর, দিল্লির বিশেষ আদালতে উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি পর্ব চলে। এনামুলের আইনজীবীরা জানাতে থাকেন, তাঁদের মক্কেল ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। তারপর তদন্তকারী সংস্থা যতবার ডেকেছে ততবারই তিনি হাজির হয়েছেন। তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। ফলে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। উল্টোদিকে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, গরু পাচারের উপভোক্তাদের কথা জানতে চাইলে কোনও জবাব দিচ্ছেন না এনামুল। নথিপত্রে যে সব নাম উঠে এসেছে তাঁদের নিয়েও প্রশ্ন করলে জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। আদালতে কেস ডায়েরি দেখিয়ে এনামুল কোন কোন প্রশ্নের জবাব দিতে চাইছেন না তাও বিচারককে দেখায় সিবিআই।

ফলে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে তবেই প্রকৃত তথ্য জানা সম্ভব সিবিআই দাবি জানিয়েছিল। আদালত আপাতত সিবিআইয়ের দাবি মানেনি। এনামুলকে সোমবার কলকাতায় হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচারের তল্লাশি থেকেও বহু নথি মিলেছে।

Advertisement

আরও পডুন: কয়লা নিয়ে তদন্তে উদ্যোগী সিবিআই

আরও পডুন: ফের সংখ্যালঘু বিধায়ক তৃণমূলে

বিশেষ করে এনামুলের হিসাবরক্ষকদের দফতরের তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ পর্যন্ত এনামুল ২ লক্ষ টাকা আয়কর দিয়েছেন। পরের বছরেই আয়করের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি টাকার বেশি। এনামুলের স্ত্রী ইনকাম ডিসক্লোজার স্কিমে ২৫০ কিলোগ্রাম রুপো, ১.৭৫ কিলোগ্রাম সোনা এবং নগদ দেড় কোটি টাকা ঘোষণা করেছিলেন। বিএসএফ কমান্ডান্টের দ্বিতীয় স্ত্রী আবার মিউচুয়াল ফান্ডে ১ কোটি টাকা লগ্নির হিসাব দিয়েছিলেন। এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল সিবিআই তার কাগজপত্র দেখতে চাইছে।

সিবিআই জানাচ্ছে, চাল রফতানির নামে একাধিক সংস্থা মারফৎ টাকা বিদেশে পাঠানো হত। একইভাবে বিদেশ থেকে টাকা এদেশে আসত বলে দাবি তদন্তকারীদের। সোমবার থেকে জেরা পর্ব শুরু করছে সিবিআই। বিএসএফ অফিসার এবং রাজ্য পুলিশের অফিসারদের বক্তব্য রেকর্ড করতে ডাকা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement