করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
ফের প্রশ্নের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা গেল ফাঁকা মদের বোতল। দু’বছর ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ, সেখানে অফিস চত্বরে কী ভাবে এল নেশার দ্রব্য, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এ বার বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যেই এবং সেন্ট্রাল অফিস সংলগ্ন অ্যাডমিশন কো-অর্ডিনেশন সেলের পাশেই পড়ে থাকতে দেখা গেল মদের বোতল, নেশার দ্রব্য। উল্লেখ্য, কিছু দিনের মধ্যেই বিশ্বভারতী পরিদর্শন করতে আসছে ন্যাকের টিম, তার আগে এই চিত্র আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলল কর্তৃপক্ষকে।
ন্যাক-এর আসার কারণে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীতে বিভিন্ন ভবন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই দেখা গেল, মদের বোতল, নেশা করার কাশির সিরাপ-সহ নানা জিনিস পড়ে থাকতে। উল্লেখ্য, এর আগে ন্যাকের মূল্যায়নে বিশ্বভারতী ‘বি প্লাস গ্রেড’ পেয়েছিল। এই অবনমন নিয়ে সেই সময় প্রশ্নও উঠেছিল বিশ্বভারতীতে। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দু’বছর ধরে বন্ধ ক্যাম্পাস, এমনকি কেন্দ্রীয় কার্যালয়-সহ গোটা এলাকা লোহার বেড়া ও গেট দিয়ে মুড়ে ফেলেছেন কর্তৃপক্ষ। সেই কার্যালয় চত্বরে নেশাদ্রব্য এলো কী করে?
খোদ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার মাঠে নেশা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চত্বরে কী ভাবে নেশার দ্রব্যের ছড়াছড়ি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও, এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
বিশ্বভারতীর ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘করোনার শুরু থেকেই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস বন্ধ। শুধুমাত্র কর্মীরাই আসছেন। সেক্ষেত্রে নেশাদ্রব্য কী করে এল সেটাই প্রশ্ন। তাহলে কি কর্মীরাই যুক্ত?’’