গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শান্তিনিকেতনে অর্মত্য সেনের বাড়ির জমি বির্তকে কেন্দ্র করে এ বার প্রতিবাদে পথে নামছে বাংলার সুশীল সমাজ। আগামী রবিবার দুপুর তিনটেয় বাংলা আকাদেমি সামনে একত্রিত হয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হবেন বিশিষ্টজনেরা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসুর আহ্বানে ওই সভা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, চিত্র পরিচালক অরিন্দম শীল প্রমুখ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, গায়ক কবীর সুমনকেও। তবে, ব্রাত্য ছাড়া রাজ্য সরকারের আর কোনও প্রতিনিধি এই সভায় যোগ দেবেন না বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের শাসকদলের নেতাদের একাংশ অমর্ত্য সম্পর্কে প্রকাশ্যে নানা বিতর্কিত এবং তির্যক মন্তব্য করছিলেন। শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়ি ‘প্রতীচী’ সংলগ্ন জমির একাংশ বিশ্বভারতীর বলেও সম্প্রতি একটি মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়। ঘটনাচক্রে, ওই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে বিতর্কটি অন্য মাত্রা পেয়েছে।
প্রতিবাদ সভাকে ব্রাত্য বাংলার মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে তুলে ধরতে চান। সুশীল সমাজের প্রতিবাদ সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যে হেতু অর্মত্য সেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধী, তাই তাঁর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার মনোভাব কাজ করছে। এ সব কিছু বলার বা করার আগে মনে রাখতে হবে তিনি একজন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ এবং ক্ষিতিমোহন সেনের নাতি। বাংলায় রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতির সঙ্গে সেন পরিবার বিরাট ভাবে জড়িত।’’
আরও পড়ুন: হুল দিবসের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের সময়সূচিতে বদল: শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেও প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্যকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি অসম্মান করছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘অমর্ত্যদার অমর্যাদা আমরা হতে দেব না।’’ প্রতীচীর জমি প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, ‘‘আপনারা কি বিশ্বাস করেন, অমর্ত্য সেনের এমন দিনও আসবে, যে তাঁকে শান্তিনিকেতনে জমি দখল করতে হবে! অমর্ত্য সেন আদর্শগত ভাবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বলে তাঁর বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বলে যাবে, এটা বাংলার মানুষ সহ্য করবে না। আমি বাংলার হয়ে ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা করবেন অমর্ত্যদা। আপনাদের মতো মানুষকেও এরা সম্মান দিতে জানে না। আমি দুঃখিত।’’