Suvendu Adhikari

পঞ্চায়েতের বহু অফিসে বিদ্যুৎ বিল বাকি: শুভেন্দু

শুভেন্দুর টুইটে আপলোড করা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তার চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পঞ্চায়েত দফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে মোট ৪৩৬ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫৪
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারছে না পঞ্চায়েত দফতরের অধীন বিভিন্ন কার্যালয়। মঙ্গলবার টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, সরকারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সরকারি সংস্থার কাছেও বিল বকেয়া রাখতে হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরকে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান শান্তনু বসুর লেখা একটি চিঠিও নিজের টুইটে যুক্ত করেছেন শুভেন্দু। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে সরাসরি কোনও জবাব মেলেনি, তবে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

শুভেন্দুর টুইটে আপলোড করা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তার চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পঞ্চায়েত দফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে মোট ৪৩৬ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ‘লেট পেমেন্ট সারচার্জ’ ধরা আছে প্রায় ১২৫ কোটি। পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথনকে লেখা চিঠিতে শান্তনু জানান, নির্বিঘ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত বকেয়া বিল মেটানোর ব্যবস্থা করুক দফতর। পঞ্চায়েত দফতরও চিঠিটি প্রত্যেক জেলাশাসককে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে।

টুইটে শুভেন্দুর মন্তব্য, “দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে আর্থিক দুরবস্থা চরমে। তারা বিদ্যুৎ বিলও মেটাতে পারছে না।” টুইটে থাকা পঞ্চায়েত দফতরের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, আর্থিক বোঝা কমাতে এবং কেন্দ্রের ঋণ ও অনুদান পেতে সরকারি বকেয়া কমানো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

Advertisement

পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও বক্তব্য রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, এমন বিল মেটানো হয় পঞ্চায়েতগুলির নিজস্ব আয় থেকেই। সেখানে কোনও অভাব রয়েছে, এমন তথ্য দফতরের কাছে নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement