প্রতীকী ছবি।
নথিপত্রের ক্ষেত্রে ক্রমশই আমজনতাকে ডিজিটালমুখী করে চলেছে সরকারি থেকে বেসরকারি—সব ক্ষেত্রই। নির্বাচন কমিশনই বা কেন পিছিয়ে থাকবে! তাই অনলাইনের প্রতিই আমজনতাকে উৎসাহ যোগাতে চাইছে কমিশন।
আগামী সোমবার থেকে ভোটার তালিকায় সংযোজন, সংশোধন, বিয়োজনের কাজ শুরু হবে। নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তা চলবে। সংযোজনের আবেদনপত্রে বিধানসভার নাম লিখতে হয় আবেদনকারীকে। অনেকেই সেই বিধানসভার নাম সঠিক ভাবে জানেন না। বিধানসভার নাম ঠিক না হওয়ার ‘ভুল’-সহ আবেদন ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ইআরও) কাছে জমা পড়ে। ফলে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অনলাইনে আবেদনের সময়ে সমস্যায় বেশি পড়েন আবেদনকারী। এ বার ওই ‘ভুল’ ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সিইও ওয়েবসাইটে ‘নো ইওর পোলিং স্টেশন’ আইকনে গিয়ে ঠিকানাটি লিখলে সেখান থেকে আবেদনকারী তাঁর বিধানসভার নাম জানতে পারবেন। ইআরও’রাও এই সুবিধা পাবেন। কারণ, অনেক সময়ে সঠিক বুথ বুঝতে ‘সমস্যা’ হওয়ায় তা সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) কাছে পাঠাতে পারেন না ইআরও’রা। তাই সেখান থেকে দেখে নিয়ে সঠিক বিএলও-র কাছে পাঠাতে পারবেন তাঁরা।
ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচিতে (ইভিপি) সংশোধন করেছেন অনেক ভোটার। ফলে তাঁদের নতুন পরিচয়পত্র (এপিক) তৈরি হয়েছে। তবে তা এখনও হাতে পাননি ভোটারেরা। যা ডিসেম্বরের শেষ থেকে হাতে পেতে শুরু করবেন বলে কমিশন সূত্রের দাবি। তার মাঝেও এপিকের পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সিইও ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন রাখা হয়েছে। যেখানে ভোটারেরা দেখে নিতে পারবেন তাঁদের পুরনো পরিচয়পত্রের পরিবর্তে নতুন পরিচয়পত্রের যাবতীয় তথ্য।
আরও পড়ুন: আতঙ্কে দেশ ছেড়ে গেলেন কুদরত!
ইভিপি’তে যে সব ভোটার সংশোধন করতে পারেননি, তাঁরা এক মাসের বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধনী প্রক্রিয়ার মধ্যে অংশ নিতে পারবেন। শনি ও রবিবার বিশেষ প্রচার চলবে। অর্থাৎ বুথগুলিতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত থাকার কথা বিএলও-দের। যেখানে গিয়ে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত আবেদন জমা থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন আবেদনকারীরা। আর বাকি দিনগুলিতেও নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বসবেন বিএলও-রা।
অনলাইনের প্রতি জোর নিয়ে কমিশন কর্তাদের বক্তব্য, ইভিপিতে মানুষের উৎসাহই প্রমাণ করছে, তাঁরা অনলাইনে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ। একই সঙ্গে অনলাইনে আবেদনকারীই তথ্য ঠিক করছেন, ফলে সেখানে ভুল-ভ্রান্তির সম্ভাবনা অনেকাংশে কম থাকে।