ব্লু হোয়েল বা ‘নীল তিমি’ খেলার নেশা রুখতে স্কুলে ছাত্র ও শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছে শিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্রোপাধ্যায় জানান, স্কুলে শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা যাতে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ রাখেন, তার জন্য আবেদন করবেন।
যদিও শিক্ষামহলের একাংশ মনে করাচ্ছেন, স্কুল চত্বরে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ। স্কুলে মোবাইল আটকে বা সার্বিক ভাবেই মোবাইলে রাশ টেনে জোর করে আসক্তি কমানো যাবে না বলেই তাঁদের মত। তাঁরা জোর দিচ্ছেন কাউন্সেলিংয়ে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে সে কাজও শুরু হয়েছে। শিক্ষক-অভিভাবকদের সচেতন করা কাজও চলছে।
এ দিনই বারাসতের একটি স্কুলে এই মারণ খেলার নেশা ছড়িয়েছে বলে খবর মিলেছে। গুগলের সমীক্ষা জানাচ্ছে, নীল তিমির আসক্তিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি শহরের ৩৩টিই ভারতের। দেশের মধ্যে পয়লা নম্বরে কোচি। তার পরেই কলকাতা। এ ছাড়া এ রাজ্যের শিলিগুড়ি ও হাওড়াও রয়েছে প্রথম ৫০-এ।
ব্লু হোয়েল নিয়ে ছাত্রীদের মধ্যে আগ্রহের খবর শুনতে পেয়েছিলেন বারাসত গার্লস স্কুলের শিক্ষিকারা। এর পরেই ছাত্রীদের ওই নিয়ে একটি রচনা লিখতে দেন তাঁরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া বসু জানান, কী ভাবে এই খেলা খেলতে হবে কয়েকটি মেয়ে নিখুঁত ভাবে তা লেখে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নবম শ্রেণির দু’টি মেয়ে ওই গেমে আসক্ত। বুধবার তাদের ডেকে দেখা যায়, হাত ব্লেডে চেরা।
আতঙ্কিত শিক্ষিকারা স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে সব জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই দুই ছাত্রী ও পরিবারকে বুধবার রাত পর্যন্ত কাউন্সেলিং করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার স্কুলে যান বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম শাখায় অফিসারেরা। দেখা যায়, আরও কয়েক জন ওই খেলার প্রাথমিক পর্বে রয়েছে। স্কুলশিক্ষা দফতরে সূত্রে খবর, ইউনিসেফ-এর পক্ষ থেকে শহরের মোট ৩০টি স্কুলে অনলাইন সতর্কতার পাঠ শেখানো হবে।