দলীয় অধ্যাপক সংগঠনের নিষ্ক্রিয়তায় বিরক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি এই সংগঠনের চেয়ারম্যানও। তৃণমূল ভবনের ওই বৈঠকে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ওয়েবকুপাকে কোনও আন্দোলনে দেখা যায় না। নোট বাতিলের মতো ঘটনার পরেও কেন এর বিরুদ্ধে কোনও মিটিং, মিছিলে ওয়েবকুপাকে দেখা যাচ্ছে না? সূত্রের খবর, স্থগিত হয়ে যাওয়া উচ্চশিক্ষা বিল নিয়েও ওয়েবকুপার মতামত চেয়েছেন পার্থ।
সেপ্টেম্বরের বৈঠকেও ওয়েবকুপাকে আরও সক্রিয় হতে বলেছিলেন পার্থ। কিন্তু তাতে যে কোনও ফল হয়নি তা শিক্ষামন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট। এ দিন সভার পরে ক্ষুব্ধ পার্থ বলেন, ‘‘এত বড় নোট বাতিল কাণ্ড! কিন্তু এদের রাস্তায় নামতে দেখা যায় না! শুধু কে কোথায় অধ্যক্ষ হবে! কে কোথায় রেজিস্ট্রার হবে! কন্ট্রোলার হবে! এই সব চিন্তা! এ সব বরদাস্ত করা হবে না।’’ এ দিন মিল্লি আল আমিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈশাখীদেবী আপাতত বর্তমান সাধারণ সম্পাদক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবিন্দ সাধুখাঁর সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন। এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যাড হক ভিত্তিতে বৈশাখীদেবীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সভার পরে পরিচালন কমিটি ঢেলে সাজা হবে।
সূত্রের খবর, তৃণমূল ভবনের এই সভা ডাকা হয় মূলত ৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি হিসেবে। কিন্তু ওয়েবকুপার অভ্যন্তরীণ গোলযোগ এ দিনও প্রকট হয়ে ওঠে। স্থগিত হওয়া উচ্চশিক্ষা বিল নিয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু। এ দিন তারও সমালোচনা করে অনেকে।