Jogesh Chandra Chowdhury Law College

কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে পদক্ষেপ করা হবে, যোগেশচন্দ্রের ছাত্রীদের আশ্বাস ব্রাত্যের

বৈঠক শেষে সরস্বতীপুজোর প্রতিমা দর্শন করেই কলেজ চত্বর ছাড়েন শিক্ষামন্ত্রী। পুলিশি তত্ত্বাবধানে কলেজের সরস্বতীপুজো কিংবা পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩২
Share:
যোগেশচন্দ্র কলেজে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

যোগেশচন্দ্র কলেজে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: ফেসবুক।

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের সরস্বতীপুজায় যোগ দিতে এসে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিক্ষোভের সম্মুখীন হন কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ও। ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের সরস্বতীপুজোয় অংশ নিতে এসেছিলেন তাঁরা। কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন ছাত্রছাত্রীরা। পরে কলেজের একটি ঘরে পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

বৈঠক শেষে সরস্বতীপুজোর প্রতিমা দর্শন করেই কলেজ চত্বর ছাড়েন শিক্ষামন্ত্রী। পুলিশি তত্ত্বাবধানে কলেজের সরস্বতীপুজো কিংবা পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে কী কী দাবি পেশ করা হয়েছে, সে বিষয় খোলসা করেননি পড়ুয়ারাও। তবে সূত্রের খবর, কলেজে সুষ্ঠু পঠন-পাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বহিরাগতদের প্রবেশ রোখার আবেদন জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। প্রাক্তন ছাত্রদের একাংশ যে এখনও কলেজ ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই অভিযোগও শিক্ষামন্ত্রীর কানে তোলা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন শিক্ষামন্ত্রী।

কলেজের পঞ্চম সিমেস্টারের ছাত্রী দেশমা ঘোষ বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীকে আমরা কি জানিয়েছি সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারব না। আমাদের কথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এর আগেও আমরা একাধিক বার বিভিন্ন মহলে কলেজে বহিরাগতদের গুন্ডামি ও দাপটের অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছিলাম। তাতে কোনও কাজ হয়নি। বরং আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। বাজারে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে। আমরাও হয়তো আগামী কয়েক বছরে এই ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যাব। যাঁরা আগামী দিনে এই কলেজে পড়তে আসবেন, তাঁদের আবারও সমস্যায় পড়তে হবে। তাই আমরা স্থায়ী সমাধান চাইছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement