মিড ডে মিলে অনিয়ম ও আর্থিক নয়ছয়ের বিরোধীদের অভিযোগ ওড়ালেন ব্রাত্য। — ফাইল ছবি।
মিড ডে মিলে অব্যবস্থার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। তার আগেই সর্বশিক্ষা মিশন খাতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা পেল রাজ্য। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্র মনে করছে পরিকাঠামো এবং পরিকল্পনার দিক থেকে রাজ্য সরকার যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। তারই স্বীকৃতি রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ পাওয়া।
বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে অভিযোগ করেছিলেন, মিড ডে মিলের টাকা নয়ছয় হচ্ছে। একই সুর শোনা গিয়েছিল সিপিএমের গলাতেও। এই পরিস্থিতিতেই জানা গেল, সর্বশিক্ষা মিশনে প্রাপ্য টাকার মধ্যে থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। যাকে বিরোধীদের মিড ডে মিল নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগের জবাব হিসাবেই তুলে ধরছে শাসকদল।
যদিও শুভেন্দুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ব্রাত্য। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বঙ্গ বিজেপি যা খুশি বলুক না কেন, কেন্দ্র যে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে, তাতেই প্রমাণিত, রাজ্য ঠিক পথেই আছে।’’ পাশাপাশি, মিড ডে মিল নিয়ে জনস্বার্থ মামলাতেও জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চয়ই মনে করছে পরিকল্পনা, পরিকাঠামোর দিক থেকে রাজ্য সরকার, আমাদের দফতর যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। ফলে আমাদের ন্যায্য টাকা আমরা পেয়েছি। রাজ্য বিজেপি যতই অভিযোগ করুক, কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ ঠিক তার বিপরীত কথা বলছে। রাজ্য বিজেপি চেঁচাক, আমরা আমাদের কাজ করি।’’
একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন মিড ডে মিল কেন্দ্র পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছে ৩০ জানুয়ারি। রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এ কথা জানিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের বিভিন্ন মিড ডে মিল কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবে। রাজ্যের মোট চারটি জেলার মিড ডে মিল কেন্দ্রে পরিদর্শন করবেন তাঁরা। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান অনুরাধা দত্ত। তাঁর সঙ্গে আরও ৯ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে।