রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলমালে কার্যত বিক্ষোভকারীদের পাশেই দাঁড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, নাম না করে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্যকে কটাক্ষও করেছেন তিনি। বুধবার ব্রাত্য বলেন, ‘‘ছাত্র এবং শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বললেই তো ঝামেলা মিটে যায়।’’ এর পরেই রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘‘এ সব কেয়ারটেকারদের নিয়ে সমস্যা আছে। তারা কথা বলতে পারছে না কেন? তারা কিসের ভয় পাচ্ছে? সমস্যা কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বিয়েবাড়ি হিসাবে ভাড়া দিয়েছে বলে ভয়?’’
প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাই অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে নিয়ে সরকার এবং শাসকদলের নানা অভিযোগ-আপত্তি শোনা গিয়েছে। এ দিন ব্রাত্য বলেছেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছাড়া পর পর কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠক করছে বলে ভয়? আম্বেডকরের নামে কথা বলে এ সব নাটবল্টুরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তো কথা বললেই মিটে যায়, কেন কোর্ট পর্যন্ত দৌড়তে হচ্ছে?’’
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভের জেরে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন উপাচার্য। কোর্টের নির্দেশে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেছে। যদিও এই গোলমালের পরেই ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশিস সামন্ত এ দিন তাঁর আগের কর্মস্থল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়েছেন। রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপিকা শ্রাবণী পাল।
এ দিন উপাচার্যের মামলা নিয়ে ব্রাত্যের কটাক্ষ, ‘‘উনি যে কোর্টে গিয়েছিলেন তার জন্য কি উচ্চ শিক্ষা দফতর কোর্টে হাজির হয়েছিল? দফতরের কিছু যায়-আসে না। রেজিস্ট্রার থেকে শুরু করে অনেক আধিকারিককে খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দফতরের অনুমোদন ছাড়া বেআইনি ইসি বৈঠক হয়েছে। তার জন্য তো আন্দোলন হবেই।’’