ফাইল চিত্র।
পারিশ্রমিক বৃদ্ধির ঘোষণার তিন মাস পরে নতুন বেতন-কাঠামোর চেহারা প্রকাশ করা হল। গত ২৯ জুলাই সল্টলেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের (এসএসকে) সহায়ক, সহায়িকা এবং প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের (এমএসকে) সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকাদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নতুন বেতনহার কেমন হবে, সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। এই বর্ধিত বেতন পাওয়া যাবে চলতি বছরে র ১ এপ্রিল থেকে। একই সঙ্গে এসএসকে ও এমএসকে-র অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারদেরও বেতন বাড়ানো হয়েছে।
শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও প্রাথমিক সূত্রের খবর, এত দিন এসএসকে-র সহায়ক-সহায়িকাদের বেতন ছিল ৫৯৫৪ টাকা। তা বেড়ে হল ১০ হাজার। এসএসকে-র মুখ্য সহায়ক ও মুখ্য সহায়িকার বেতন ছিল ৫৯৫৪ টাকা। সেটা বাড়িয়ে ১০,৩৪০ টাকা করা হয়েছে। অন্য দিকে, এমএসকে-র সম্প্রসারক ও সম্প্রসারিকাদের বেতন ছিল ৮৯৩০ (যাঁরা পাশ স্নাতক) এবং ৯৬৭৫ (যাঁরা অনার্স স্নাতক) টাকা। এখন তাঁদের সকলেরই বেতন বেড়ে হল ১৩,০০০। মুখ্য সম্প্রসারক ও মুখ্য সম্প্রসারিকার বেতন ছিল ১০৪১৯ টাকা। তাঁদের বেতন বাড়িয়ে ১৪,০০০ টাকা করা হয়েছে। এসএসকে এবং এমএসকে-র অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারেরা ৭৪৪২ টাকা বেতন পেতেন। তা বেড়ে হল ১২,৫০০।
শিক্ষামন্ত্রী বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেশ কিছু দিন আগে। কবে তা কার্যকর হবে, তা জানতে শিক্ষা দফতরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকেরা। এত দিনে নতুন বেতন-কাঠামো সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় তাঁদের একাংশ স্বভাবতই খুশি। ওয়েস্ট বেঙ্গল এসএসকে-এমএসকে টিচার্স অ্যান্ড এএস ঐক্য মঞ্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাঞ্চন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা আট বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হয়েছি। এই বেতন বৃদ্ধিতে আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম। আশা করি, সমগ্র শিক্ষা অভিযানে বেতন বৃদ্ধির নিয়মবিধি অনুসারে আমরা যাতে বেতন পাই, পরবর্তী কালে সরকার সেটা দেখবে।’’
অন্য দিকে, শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু বেতন বাড়ালেই হবে না। অবিলম্বে তাঁদের পঞ্চায়েত দফতরের আওতা থেকে সরিয়ে শিক্ষা দফতরের অধীনে আনতে হবে। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সভাপতি সুজিত দাস বলেন, ‘‘শিক্ষামন্ত্রী গত ২৯ জুলাই ঘোষণা করেছিলেন, এসএসকে এবং এমএসকে, দুই শিক্ষা বিভাগকেই পঞ্চায়েত দফতর থেকে সরিয়ে শিক্ষা দফতরে নিয়ে আসা হবে। এখনও তা হল না কেন? অবিলম্বে সেটা করতে হবে। সহায়ক-সহায়িকা বা সম্প্রসারক ও সম্প্রসারিকা নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকার মর্যাদা দিতে হবে আমাদের।’’