অনুব্রত এবং সহগল। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে জেরা করার আবেদন খারিজ হয়ে গেল আদালতে। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আবেদন খারিজ করেছে।
রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল সহগলের বহু কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান মেলার দাবি করে গত ৩১ অগস্ট আদালতকে ইডি জানিয়েছিল বেআইনি আর্থিক লেনদেনের উৎস এবং গতিপথ চিহ্নিত করার জন্য সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ সোমবার সহগলকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ইডির আবেদন খারিজ করেছেন।
গরু পাচারের পাহাড়প্রমাণ টাকা কোথায় গিয়ে জমা হয়েছে, তা জানতে সামগ্রিক তদন্তের দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে ইডি-র উপরে। এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় সিবিআই যতটুকু তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে, তাতে একটি বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত। তা হল, শুধু বীরভূম জেলা থেকেই গরু পাচারে বিপুল পরিমাণ টাকা উঠে এসেছে।
সেই তদন্তকে মূলধন করেই সহগলের পাশাপাশি অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা ইডি-র ছিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল। সোমবার আদালতে নির্দেশে সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেল। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাওয়ার পরে গরু পাচার মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল ইডি। সেখানেই এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়। গরু পাচারের মামলায় এনামুল এখন রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই দাবি করেছিল, সহগল ও তাঁর পরিবারের নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। ইডি সূত্রের দাবি, শুধু অনুব্রত ও সেহগাল নয়, গরু পাচারের লভ্যাংশের টাকা আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে পৌঁছেছে। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডি-ও এ বিষয়ে তদন্ত করছে। অনুব্রতের মেয়ের নামে একাধিক ভুঁইফোঁড় সংস্থার খোঁজ মেলায় গরু পাচার থেকে আয়ের কালো টাকা কী ভাবে সাদা করা হয়েছে, তা নিয়ে ইডি তদন্ত শুরু করেছে। কারণ, এর সঙ্গে আর্থিক নয়ছয়ের অপরাধ জড়িত।