প্রতীকী ছবি।
হুগলির ধনিয়াখালি থানায় পুলিশ হেফাজতে বন্দি-মৃত্যুর মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল সিবিআই। ঘটনার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ জানিয়েছে, 'থানার সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট, দুই কনস্টেবল মৃত ব্যক্তিকে চড় মেরেছিলেন।
এ বিষয়ে সিবিআই তদন্তে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'থানার ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ নিরবচ্ছিন্ন নয় বলে সিবিআইয়ের ব্যাখ্যায় সংশয় রয়েছে।''শরীরে আঘাত কেন ময়নাতদন্তে তার প্রকৃত ব্যাখা নেই।''সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চের প্রশ্ন— ‘এর পরেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এ ধারায় (গাফিলতিতে মৃত্যু) সিবিআই তদন্তে চার্জ আনে কী ভাবে?’’ সিবিআইয়ের চার্জ সোমবার বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ধনিয়াখালি থানার মধ্যে ধৃত কাজি নাসিরুদ্দিনকে রাত ৯টা ৭ মিনিট নাগাদ চড় মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের পর গুগলির মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) এজলাসে ২০১৭-য় ৩০৪-এ ধারায় (গাফিলতিতে মৃত্যু) চার্জ গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্ট সোমবার তা বাতিল করেছে।
হুগলি সেশনস জজের কাছে বিচার প্রক্রিয়া পাঠিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। এ ক্ষেত্রে ৩০৪(২) ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) চার্জ গঠন করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, গাফিলতিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ সাজা দু’বছর। অনিচ্ছাকৃত খুন, সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর।