সিবিআই বহু বার লতিফকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালেও তিনি কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
তিনি নাকি নিখোঁজ, তাঁকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করতে পারে সিবিআই, বাজেয়াপ্ত করতে পারে তাঁর সম্পত্তিও— এই সব জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ইডি নোটিস পাঠাল গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বীরভূমের ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফকে। আগামী সপ্তাহে তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসে। যেখানে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্থাটির হেফাজতে রয়েছেন গরু পাচার মামলার আরও দুই অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন।
এর আগেও অবশ্য লতিফকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু অসুস্থতার ওজর তুলে তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন লতিফ। জানিয়েছিলেন, তাঁর নাকি কেমোথেরাপি চলছে। অথচ তার কিছু দিন পরেই শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা হত্যার সময় সেই ‘অসুস্থ’ লতিফ উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। খুনের সময় যে গাড়িতে সওয়ার ছিলেন রাজু, সেটি লতিফেরই গাড়ি বলে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন গাড়িটির চালক। এমনকি ঘটনার সময় লতিফ গাড়িতে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর পরই লতিফের অসুস্থতার অজুহাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সমন এড়ানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এর আগে সিবিআই বহু বার লতিফকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালেও তিনি কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন। মুখোমুখি হননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু হত্যার ঘটনাস্থলে লতিফের উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সিবিআই লতিফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। এমনকি, লতিফকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করা এবং তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শও নিতে শুরু করেছে বলেও সূত্রের খবর। যদিও সিবিআই এ বিষয়ে সরাসরি কিছু জানায়নি। এই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার লতিফকে ডেকে পাঠাল ইডি।