নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অর্ণবের মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে আবার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে অর্ণবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তার পর আবার তাঁকে তলব করা হল।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন অর্ণব। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তিনি। গত বুধবার সল্টলেকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে (সেখানেই থাকেন অর্ণব) তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে অর্ণবের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তদন্তকারীরা। তার পরই তাঁকে শুক্রবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইতিমধ্যেই অর্ণবের ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অর্ণবের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পর যত দিন গড়িয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক নতুন নাম। গত মাসেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীল নামে হুগলির এক প্রোমোটারকে। সল্টলেকে তাঁর অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণে নথি পাওয়া গিয়েছে। এই দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অয়ন। এই পর্বের পর এ বার ইডির আতশকাচের তলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব।