রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তথ্যের খোঁজে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা।
দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। সেই সময় পুরনিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রীর মাইকেলনগরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ৫টি গাড়িতে রথীনের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকেরা। ইডির হানা প্রসঙ্গে রথীন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এর আগেও তো বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে। কিন্তু কিছু তো পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারের প্রতিক্রিয়া আজ পাওয়া যাচ্ছে। রাজভবন অভিযান অভিযানের মতোই চলবে।’’ পুরসভায় ‘ভাল কাজ’ করার পুরস্কার হিসাবেই ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় রথীনকে জায়গা দেওয়া হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রে খবর। তার আগে দীর্ঘ দিন রথীন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। রথীনের বাড়ি ছাড়াও মধ্যমগ্রাম পুরসভার দফতরেও তল্লাশি চালাতে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা।
শুধু রথীনের বাড়িতেই নয়, ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। পাশাপাশি বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে ইডির একটি দল। টিটাগড়ের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। ১২ বছর পদে থাকার পর ২০২২ সালে পুরনির্বাচন শেষ হলে তাঁকে সরানো হয়েছিল।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অয়ন শীলের বাড়িতে বাজেয়াপ্ত করা নথিতে উল্লেখ ছিল রথীনের নাম। এর আগেও গত ৭ জুন মোট ১৪টি পুরসভায় হানা দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত নথি জোগাড় করেছিল ইডি।
ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবন অভিযান কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে এই নেতাদের থাকার কথা। ঠিক তার আগে ইডির অভিযানের ফলে তৃণমূল আন্দোলনের সুর চড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।