ব্যাঙ্ককর্মীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে সুমন বল্লভের তোলা ছবি।
কালো টাকার কারবারিদের রুখতে গত মাসের মাঝামাঝি জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে বাতিল নোটের লেনদেন বন্ধে ফরমান জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নোট বাতিলের ঘোষণার পরে জমা পড়া টাকার অবস্থা জানতে পেরে এ বার রাজ্যের তিন জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
শুক্রবার নদিয়া, হাওড়া ও হুগলি জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দেয় ইডি-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। তবে, তাঁরা কোনও গরমিল খুঁজে পাননি বলে দাবি ব্যাঙ্কগুলির। হাওড়ার উলুবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে এসেছিলেন ইডি-র কলকাতা অফিসের যুগ্ম অধিকর্তা সুদর্শন ঘোষ। তিনিও বলেন, ‘‘হিসেবে গরমিল পাইনি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।’’
রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই হানা। তাঁর দাবি, ‘‘আধিকারিকেরা জানান, ইডি হাওড়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে গরমিল পায়নি। উল্টে তাঁরা প্রশংসাই করেছেন। এ থেকেই প্রমাণ হয় কেন্দ্র যতই চক্রান্ত করুক, সফল হবে না।’’ ইডি উলুবেড়িয়ায় হাওড়া জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক, চুঁচুড়ায় হুগলি জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক এবং নদিয়ায় কৃষ্ণনগর জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় হানা দেয়। ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখা থেকে বাতিল নোট কত জমা পড়েছে, সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে, এ সবও জানতে চান ইডি-র প্রতিনিধিরা। নোট বাতিলের পরে শুধু নদিয়ার ব্যাঙ্কেই জমা পড়েছে প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা। এ টাকা কী ভাবে জমা পড়ল, কোনও অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে কিনা, দেখা হয় বলে ব্যাঙ্ক জানায়।