গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সেই অগস্ট মাসে অস্ত্রোপচার হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। এখনও সুজয় হাসপাতালেই। হৃদ্রোগের চিকিৎসায় এত দিন ধরে তিনি হাসপাতালে কেন? এখনও কিসের অসুখ তাঁর? সরেজমিনে দেখতে আচমকা হাসপাতালে হাজির হলেন ইডির কর্তারা।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’কে গত ৩০ মে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার পর ইডি হেফাজত শেষে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সুজয় জেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁকে আর এক দিনও জেরা করতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। প্রথম যে দিন তদন্তের প্রয়োজনে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিলেন তাঁরা, সে দিনই মৃত্যু হয় সুজয়ের স্ত্রীর। ফলে জেরা করা যায়নি। তার পর দীর্ঘ প্যারোল এবং প্যারোলের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই সুজয়ের অসুস্থতা— সব মিলিয়ে তাঁর নাগাল না পাওয়ায় কিছুটা প্রভাব তদন্তেও পড়ছে বলে ইডি সূত্র খবর।
এর মধ্য়েই ইডির উপরও নিয়োগ মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার চাপ আসছে। তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হচ্ছে ইডিকে। সম্প্রতিই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলাতেও বিচারপতি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ইডিকে। আর এই মামলারই অন্যতম সূত্র সুজয়। কারণ তিনি ওই সংস্থার প্রাক্তন কর্মী। এই পরিস্থিতিই মঙ্গলবার দুর্গাপুজোর তৃতীয়ার দিন এসএসকেএমে চমক পরিদর্শনে হাজির হন ইডির কর্তারা।
গত অগস্টের মাঝামাঝি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের অপারেশন হয়েছিল সুজয়ের। তার পরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু অগস্ট, সেপ্টেম্বর পেরিয়ে এখন অক্টোবরও শেষ হওয়ার মুখে। তার পরও সুজয়কে কেন চিকিৎসাধীন থাকতে হচ্ছে, এখনও তাঁর কিসের অসুখ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন ইডি কর্তারা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাদের কাছে সুজয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দেখতে চেয়েছেন ইডি কর্তারা। যাতে অন্যত্র পরামর্শ নেওয়া যায়। ইডির পরিদর্শনের পরও অবশ্য বুধবার হাসপাতালেই ছিলেন সুজয়।