শাহজাহান শেখ। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির জেলবন্দি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর সম্পর্কিত আরও সম্পত্তি আটক করল ইডি। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এমনই জানিয়েছে ইডির কলকাতা শাখা। সেই বার্তায় জানানো হয়েছে, ইডি শাহজাহানের স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে ১৪ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি এই দফায় আটক করেছে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬০ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। আদালতে এমনটাই দাবি করেছিল ইডি।
ইডি সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের কলকাতা শাখা ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা আটক করেছে। তার পাশাপাশি, ৫৫টি স্থাবর সম্পত্তি, যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তা-ও আটক করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, শাহজাহানের পাশাপাশি, শেখ আলমগির, শেখ সুমাইয়া হাফিজ়িয়া ট্রাস্ট (যার প্রতিনিধি শেখ আলমগির), আব্দুল আলিম মোল্লা, শিবপ্রসাদ হাজরা-সহ অন্যদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে যে, আটক করা স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ৩৮.৯০ বিঘা জমি। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, মার্চের গোড়ায় ইডি শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করেছিল ইডি। তার পর আবার মে মাসে দ্বিতীয় দফায় তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি আটক করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগে ইডি আদালতে দাবি করেছিল, শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলায় ‘প্রসিড অফ ক্রাইম’ হিসাবে ২৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে ইডি। ‘প্রসিড অফ ক্রাইম’ বলতে বোঝায়, দুর্নীতির মাধ্যমে যা আয় করা হয়। ইডির দাবি, ভয় দেখিয়ে, জমি দখল করে সন্দেশখালিতে ২৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে। কিন্তু তল্লাশি তো দূরস্থান, অধুনা সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার অনুগামীদের তাণ্ডবে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে হয় ইডি আধিকারিক এবং তাঁদের নিরাপত্তায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। প্রায় দু’মাস পর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থেকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। তার পর আদালত তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই শাহজাহানকে গ্রেফতার করে ইডিও।