প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকপদের যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষার ভিত্তিতে (টেট) নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিভিন্ন বেসরকারি বিএড-ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষের ৫০ জন প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা পলাশিপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের দু’টি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ডিএলএড কলেজ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জমা পড়েছে। তা ছাড়া মানিকের ঘনিষ্ঠ অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি বাবদ মানিক সারা রাজ্যের ৫৯৬টি ডিএলএড কলেজের কাছ থেকে পড়ুয়াদের মাথাপিছু ৫০০০ টাকা নিয়েছিলেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে অনলাইনে ভর্তি বাবদ তাপসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে ইডি-র দাবি।
কোন চুক্তি অনুযায়ী কোন খাতে ডিএলএড কলেজগুলি মানিক এবং তাঁর ছেলের দু’টি সংস্থাকে টাকা দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্যই ওই সব কলেজের কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, কলেজ-প্রতিনিধিদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। ইডি-র প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, টাকা যে মানিকের ছেলের সংস্থায় দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁরা জানতেন না। সংগঠনের সভাপতি তাপসের নির্দেশে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাপসকে পাঁচ দফায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।