সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। — ফাইল চিত্র।
যার জন্য এত হুলস্থুল, দিনের পর দিন আদালতে শুনানি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’-র সেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্টের কী হল, তা নিয়ে কৌতুহলের অন্ত ছিল না জনমানসে।
শনিবার ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি তাদের হাতে সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তবে, কাকুর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত অডিয়োতে পাওয়া কণ্ঠস্বরের সঙ্গে তাঁর বর্তমান কণ্ঠস্বর মিলেছে কি না, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারীরা। আগামী সপ্তাহে আদালতে শুনানি। সেই সময়ে ওই রিপোর্ট পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কাকু ধরা পড়েন রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, তাঁর মোবাইল থেকে এমন অডিয়ো ক্লিপ পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে প্রভাবশালীদের কণ্ঠস্বরও রয়েছে। সেটাকে হাতিয়ার করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি। আদালত জানায়, কাকুর বর্তমান কণ্ঠস্বরের সঙ্গে সেই অডিয়ো ক্লিপে পাওয়া কাকুর কণ্ঠস্বর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মিলিয়ে দেখতে হবে। সেটা মিললে, তবেই তা প্রামাণ্য নথি হিসেবে আদালত গণ্য করবে।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কণ্ঠস্বরের নমুনা যাতে দিতে-না হয় তাই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বহুদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কাকু। যদিও তার
মধ্যে, গত অগস্টে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়ে কাকু-কে গত ৪ জানুয়ারি সেখান থেকে তুলে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়। তা পাঠানো হয় দিল্লিতে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে।
কবে আসবে সেই রিপোর্ট, সত্যিই কি নমুনা আসল কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলল, তা নিয়ে অনন্ত কৌতূহল ছিল। সেই রিপোর্টই হাতে এসেছে ইডি-র।