কৃষক আন্দোলন। ছবি: পিটিআই।
কৃষক আন্দোলনের জেরে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়ছে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশের অর্থনীতি। মঙ্গলবার এমনটাই জানাল দ্য অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব ইন্ডিয়া (অ্যাসোচ্যাম)। তাদের মতে, আন্দোলনের কারণে এই রাজ্যগুলোতে প্রতি দিন পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে রাজ্যের অর্থনীতির উপর। অ্যাসোচ্যাম-এর মতে, সেই ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩০০০-৩৫০০ কোটি টাকা।
করোনা এবং লকডাউনের জেরে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। সেই ক্ষত ধীরে ধীরে সারিয়ে উঠতে না উঠতে কৃষক আন্দোলনের জেরে ফের সরবরাহ ব্যবস্থা ধাক্কা খাওয়ায় রাজ্যগুলোর অর্থনীতি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অ্যাসোচ্যাম।
তারা জানিয়েছে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিতে পণ্যদ্রব্য পৌঁছতে যে সময় লাগত, আন্দোলনের জেরে বহু সীমানা আটকে থাকায় ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত খরচ করে পণ্য নিয়ে যেতে হচ্ছে।
অ্যাসোচ্যাম-এর প্রেসিডেন্ট নীরঞ্জন হীরনন্দানি বলেন, “পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি এক সঙ্গে জুড়লে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু কৃষকদের আন্দোলনের ফলে রাস্তা, টোল প্লাজা, রেল পরিষেবা, এমনকি অর্থনীতিও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এই সব রাজ্যগুলোতে।”
আন্দোলনের বহু পণ্যদ্রব্যের রফতানি মার খাচ্ছে। দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শ্রমিক অভাবে কলকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হতে চলেছে বলেও জানিয়েছে অ্যাসোচ্যাম। কৃষক আন্দোলনের দ্রুত সুরাহা না হলে অর্থনীতির উপর আরও বড়সড় আঘাত আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিআইআই-এর এক শীর্ষ কর্তা।