প্রতীকী ছবি।
থযাত্রার সময় থেকেই নাকি দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। ভারতীয় রেলও ব্যতিক্রম নয়। দুর্গাপুজোর ছুটিতে বেড়ানোর টিকিট সংরক্ষণের কাজ রথযাত্রার পরই শুরু করে দিল তারা। এ বছর পুজো অক্টোবর মাসের শেষে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী। রেল তার চার মাস আগেই পুজোর বুকিংয়ের কাউন্টার খুলে দিয়েছে। এমনকি পুজোর ছুটিতে পূর্বরেলের হাওড়া-শিয়ালদহ জোনে চাপ বাড়তে পারে অনুমান করে রবিবার সকালগুলোও খোলা রাখা হচ্ছে রেলের বুকিং কাউন্টার। বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি বিবৃতি দিয়েছে রেল।
রেল জানিয়েছে, ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কথা মাথায় রেখেই তাদের এই পদক্ষেপ। বিগত বছরগুলির পুজোর সময়ের বুকিংয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে রেল দেখেছে, এই সময়ে দূরপাল্লার দ্রুতগামী এবং মাঝারি দ্রুতগামী ট্রেনের চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গমুখী দ্রুতগামী ট্রেনের। সেই হিসাবেই রেলের অনুমান এ বারও হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত, দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেসের চাহিদা বেশি থাকবে। আবার পুজোর সময়ে বাংলা থেকে দিল্লি, শিমলা, কাশ্মীর যাওয়ারও প্রবণতা দেখা যায় এই সময়ে। সে ক্ষেত্রে রাজধানী এক্সপ্রেস, দুন এক্সপ্রেস, কালকা মেলের মতো দ্রুতগামী ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বাড়তে দেখা যায়।
রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শিয়ালদহ বিভাগের ৩৪টি সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং হাওড়া বিভাগের সমস্ত টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র, এ ছাড়া কলকাতা, যাদবপুর, সোনারপুর, বারাসত, বারুইপুর, নৈহাটি, টলিগঞ্জের টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র আপাতত রবিবার সকালবেলায় খোলা থাকবে। ২৫ জুন থেকে ১৬ জুলাই প্রতি রবিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র খোলা থাকবে।