Ladies Coaches in Local Train

শিয়ালদহে প্রতি দিন ১৮ লক্ষ যাত্রীর যাতায়াত, ২৫ শতাংশ মহিলা! কামরা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা রেলের

প্রতি দিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। রুটিরুজির জোগাড়ে শহরতলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মহিলা যাত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৮
Share:
Eastern Railway gave clarification regarding more ladies coaches in Sealdah division

শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। —ফাইল চিত্র।

শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আগে একটি ট্রেনের দুই প্রান্তে একটি করে মহিলা কামরা ছিল। তবে এ বার থেকে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুই প্রান্তের ভেন্ডারের সঙ্গে থাকা জেনারেল কামরাকে মহিলা কামরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কিন্তু তা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে নিত্যযাত্রীদের একাংশের মধ্যে। তবে কেন মহিলা কামরা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রেল জানিয়েছে, প্রতি দিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। রুটিরুজির জোগাড়ে শহরতলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। অনেকে আবার কলকাতা থেকে যান অন্য জায়গায়। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতি দিন মোট যাত্রীর প্রায় ২৫ শতাংশ মহিলা। তাঁদের ট্রেনযাত্রা কিছুটা সুখকর করতেই মহিলাদের কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগে শিয়ালদহ ডিভিশনে ৯ কোচের ট্রেন চলত। সেই ট্রেনগুলিতেও দু’টি মহিলা কামরা থাকত। তবে এখন সব ট্রেনই ১২ কোচের। সেই ট্রেনে এত দিন দু’টি করে মহিলা কামরা ছিল। এ বার সেই সংখ্যাই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে জেনারেল কামরা সংখ্যা কোনও ভাবেই কমানো হচ্ছে না। রেল জানিয়েছে, ট্রেন এবং স্টেশন চত্বরে যৌন হেনস্থার ঝুঁকি কমাতে শিয়ালদহ বিভাগ সর্বদা তৎপর। অনেক মহিলা যাত্রীই সাধারণ কোচ অপেক্ষাকৃত কম ভিড় থাকা সত্ত্বেও মহিলা কোচ বেছে নেন, বিশেষত রাতে আরপিএফের উপস্থিতির কারণে। সেই কথা মাথায় রেখেই মহিলা কামরা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে।

Advertisement

ব্যস্ত সময়ে ট্রেনগুলিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয়। সেই ভিড়ে অনেক মহিলা থাকেন। ভিড়ের মধ্যে মহিলা যাত্রীরা সাধারণত মহিলা কামরাতেই উঠতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু মহিলা কামরা দু’টি হওয়ায় তাতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়। অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেন না। জেনারেল কামরাতেও ওঠা সম্ভব হয় না। ঠেলাঠেলি, ঠাসাঠাসির ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে।

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লেডিজ় স্পেশ্যাল’ বা মাতৃভূমি লোকাল চালু করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের মতে, মাতৃভূমির মতো ট্রেনে মহিলারা অনেক স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু সব লাইনে সব সময় মাতৃভূমি চালানো সম্ভব নয়। তাই মহিলা যাত্রীদের ভরসা ট্রেনের দুই মহিলা কামরা। নয়তো অন্য কামরায় পুরুষদের সঙ্গে লড়াই করে উঠতে হয়। মহিলাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই শিয়ালদহ ডিভিশনে বাড়তি ‘লেডিজ় কামরা’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কালে ১৫ কামরার লোকাল ট্রেনও চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে রেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement