প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির প্রবল দ্বৈরথের আবহেও সদস্যসংখ্যা বাড়ল সিপিএমের যুব ফ্রন্টে। সদস্যপদ গ্রহণ ও নবীকরণের পর্ব শেষ হওয়ার পরে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে তাদের সদস্যসংখ্যা বেড়েছে এক লক্ষ ১৮ হাজার ৭৪৯। মেরুকরণের বাজারে এই ঘটনাকে ‘ইতিবাচক’ লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন সিপিএম নেতৃত্ব। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কাজ করে, এমন একটি সংগঠনে সদস্যপদের সাড়া মেলার ইঙ্গিত তাঁদের উৎসাহ বাড়িয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া বছরে যুব সংগঠনের সদস্যপদ নিয়েছেন বা নবীকরণ করিয়েছেন, এমন কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২১ জন। দিঘায় যুব সংগঠনের বিশেষ রাজ্য কমিটির বৈঠকে সদস্যপদের বিষয়ে পর্যালোচনার পরে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র ও রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, যুব সমাজের মধ্যে বামপন্থীদের নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অতিমারি ও লকডাউনের সময়ে সরকারে না থেকেও মানুষের দরকারে পাশে দাঁড়িয়েছে বামেরা। কেন্দ্র ও রাজ্যে দুই সরকার সম্পর্কেই তরুণ প্রজন্মের ‘মোহভঙ্গ’ হচ্ছে। তাঁদের আরও দাবি, আগামী বিধানসভা ভোটে বাম ও গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সরকারে এনে ‘উন্নততর বাংলা’ গড়তে সচেষ্ট হবেন মানুষ।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘‘মানুষের জীবনের দৈনন্দিন সমস্যা, রুটি-রুজির লড়াই নিয়ে ময়দানে আছে বামপন্থীরা। ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বামপন্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। যুব ফ্রন্টে সদস্যবৃদ্ধি তারই ফল।’’ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছ ও তরুণ মুখকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি।
সায়নদীপ জানিয়েছেন, রাজ্যে কর্মসংস্থানের করুণ হাল তুলে ধরতে তাঁরা বুথ স্তরে কর্মপ্রত্যাশীদের তালিকা তৈরি করবেন। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির নবান্ন অভিযানে থাকবে কাজের দাবি। পরে বাম ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সরকার ক্ষমতায় এলে কর্মপ্রত্যাশীদের তালিকা সামনে রেখেই কর্মসংস্থানের অভিমুখ ঠিক হবে। নবান্ন অভিযানের আগে ৩ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গুর, শালনবি-সহ রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনাময় কিছু জায়গায় প্রতীকী শিলান্যাসও করবে যুব সিপিএম। যার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে সরকারে এলে শিল্পায়নের রূপরেখা তৈরি হবে বলে তাদের দাবি।