আইআইএইটএম ক্যাম্পাসের প্রথম দুর্গাপুজোয় শুভশ্রী এবং পরমব্রত। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে চাকরিমুখী শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছেন তাঁরা। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট (আইআইএইচএম) কর্তৃপক্ষ এ বার উদ্যোগী হলেন বাঙালির বৃহত্তম উৎসবের শরিক হতে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে আইআইএইচএম ‘আইকনিক গ্লোবাল ক্যাম্পাসে’ এই প্রথম বার আয়োজন করা হয়েছে দুর্গাপুজোর।
আইআইএইচএম-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি কাউন্সিল’ (আইএইচসি)-এর চেয়ারম্যান সুবর্ণ বসু সংস্থার ক্যাম্পাসে পুজোর উদ্বোধন করেন। কলকাতার দুর্গাপুজোকে দেওয়া ইউনেস্কোর সম্মাননার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘এটি আমাদের সকলের কাছে গর্বের বিষয়। প্রথম বার শারদোৎসবের শরিক হতে পেরে আমরা আনন্দিত।’’
আইআইএইচএম ক্যাম্পাসে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার দুর্গাপুজোকে দেওয়া ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিব্ল কালচারাল হেরিটেজ’ (আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) তকমায় আনন্দ প্রকাশ করে তিনি জানান, শহরের আতিথেয়তা (হসপিটালিটি) এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের কাছে এটি বড় প্রাপ্তি। পুজোর সঙ্গে জড়িত শিল্পী এবং কারিগরদের সেই ‘মহান প্রাপ্তি’র অংশীদার বলে জানান তিনি।
সর্বজনীন অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কো-নির্ধারিত ‘সুস্থিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (সাসটেনেবল্ ডেভেলপমেন্ট গোল্স বা এসজিও)-র অনুসারী বলে ‘ইনট্যানজিব্ল কালচারাল হেরিটেজ’ তকমায় বলা হয়েছে। সুবর্ণ বলেন, ‘‘সুস্থিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসজিও)-র সঙ্গে আতিথেয়তা এবং পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। অন্য যে কোনও ক্ষেত্রের চেয়ে সেই সম্পর্ক নিবিড়তর।’’