—প্রতীকী চিত্র।
পূর্ব কলকাতা জলাভূমির অংশ বাদ দিয়েই বুধবার সবুজ বাজির ক্লাস্টারের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, মেদিনীপুরের কোলাঘাট, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের নাম ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাদ পড়েছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির ধাপা মাঠপুকুর এবং বাজি ব্যবসার জন্য বিখ্যাত বজবজের মহেশতলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, ‘‘ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে যুক্ত এক লক্ষেরও বেশি মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং কাউকে যাতে কাজ হারাতে না হয়, সেটা ভেবে ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। বাকি জায়গায় ঘরবাড়ি থেকে দূরে যেখানে করা সম্ভব, তা জানালে সেখানেও দেখে নেওয়া হবে।’’
ব্যবসায়ীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন, সবুজ বাজির লাইসেন্স সংক্রান্ত এমন ওয়েবসাইটের উদ্বোধন হয় এ দিন। জানানো হয়েছে, বারুইপুরে ২১ একর জমির উপরে ২.৪৯ কোটি টাকায় ‘সেলিং ক্লাস্টার’ তৈরি করা হবে। সেখানে বাজি তৈরি ও বিক্রি, দুই-ই হবে। বনগাঁর ১২ একর ক্লাস্টারের জন্য বরাদ্দ ২.২৮ কোটি টাকা। কোলাঘাটে বাজি মজুত ও বিক্রির জন্য ব্যবহার হবে একটি ভবন। বরাদ্দ হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। উদয়নারায়ণপুর এবং বহরমপুরে যথাক্রমে ০.১৮৩ একর ও ১ একর জমিতে ‘সেলিং ক্লাস্টার’ তৈরির জন্য বরাদ্দ ৫৩ এবং ৮৩ লক্ষ টাকা।
তবে মহেশতলা ও ধাপার নাম কেন বাদ গেল, তা নিয়ে সরকারি স্তরে কিছু জানানো হয়নি। আগে ধাপার খবর ছড়াতেই অবশ্য নানা মহল থেকে প্রতিবাদ ওঠে। পরিবেশকর্মীরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা কুড়নো, ‘আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি’র চেয়ারম্যান বাবলা রায় যদিও বললেন, ‘‘মহেশতলার জমিতে দমকলের যাওয়ার মতো জায়গা নেই। পরিবেশকর্মীদের জন্যই ধাপার নাম ঘোষণা হল না। আমরাও ঝামেলা চাই না। পরিবেশকর্মীদের জয় হোক, আমরা বিকল্প জায়গা খুঁজে নেব।’’