পুলিশের সঙ্গে তখন বচসা চলছে পুজো কমিটির সদস্যদের। ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ি আটকে মহিলা বিচারককে হেনস্থা করল এক দল মত্ত যুবক। অভিযোগ, ওই যুবকরা রাস্তা জুড়ে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রা নিয়ে যাচ্ছিল। বিচারকের গাড়ির চালক রাস্তা ছাড়তে বললে শুরু হয় গন্ডগোল।
চন্দননগর আদালতের এক কর্মী বলেন, বিচারক চন্দ্রাণী চক্রবর্তী তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি রবিবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন।
এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ আদালতে আসার জন্য চন্দননগর জিটি রোডের রেমন্ডস শোরুমের কাছে নিজের ফ্ল্যাট থেকে বেরোন চন্দ্রাণী। তাঁর গাড়িতে ছিলেন তার দুই দেহরক্ষী এবং তাঁর স্বামী। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বেরনোর পরই রাস্তায় বিসর্জনের শোভাযাত্রার মধ্যে পড়ে যান তিনি। তখন তাঁর দুই দেহরক্ষী গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির জন্য রাস্তা ফাঁকা করতে চেষ্টা করেন। ওই দুই পুলিশ কর্মী গাড়ি থেকে খানিকটা এগিয়ে যান। সেই সময়েই বিসর্জনের শোভাযাত্রার মধ্যে থাকা কয়েকজন যুবক তাঁর গাড়ি আটকে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: রাস্তার নামে সামরিক প্রকল্প বানাচ্ছে চিন, বিক্ষোভ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে
বিচারকের অভিযোগ, ওই যুবকরা প্রত্যেকেই মত্ত ছিল। তাঁরা গাড়ির চালককে গালিগালাজ করতে থাকে। সেই সময় চালক বলেন গাড়িতে বিচারক রয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়না। উল্টে ওই যুবকরা বিচারককেও অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে।
ওই মহিলা বিচারক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি প্রতিবাদ করলে হলুদ পাঞ্জাবী পরা এর যুবক তাঁর হাত ধরে গাড়ি থেকে টেনে নামাতে চেষ্টা করে। অভিযোগ ওই যুবকরা বলতে থাকে — যেই হোন না কেন, কেউ কিছু করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: কনস্টেবলকে ধর্ষণ! ভিডিয়ো তুলে ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগ সাব ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে
ইতিমধ্যে চিৎকার, গণ্ডগোল শুনে ছুটে আসেন বিচারকের সঙ্গে থাকা দুই পুলিশ কর্মী। জানানো হয় চন্দননগর থানাকেও। পুলিশ বাহিনী এসে বিচারকের গাড়ি নিরাপদে বের করে নিয়ে যায় আদালত পর্যন্ত। নিগৃহীতা বিচারক পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই শোভাযাত্রাটি ছিল মানকুণ্ডুর নতুনপাড়া পুজো কমিটির।
তিনি এ দিন আদালতের কাজ সেরেই পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্তদের সন্ধান পায়নি পুলিশ। নতুনপাড়া পুজো কমিটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এই খবর ছাপা পর্যন্ত। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, তাঁরা বিচারকের দেওয়া বর্ননা অনুযায়ী অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।