সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে রাস্তায় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বসেছিলেন মা নার্গিস খাতুন। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় জল রয়েছে। তাই আর গাড়ি যাবে না। আর যদি যেতেই হয়, ২০০ টাকা লাগবে! সেই টাকা দিতে না পারায় মা ও তাঁর সদ্যোজাত শিশুকে মাঝপথেই নামিয়ে দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে চলে গেলেন চালক। এই ঘটনায় মাতৃযান পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। প্রশ্ন, মাতৃযান পরিষেবা যে বিনা পয়সায় পাওয়া যায়, সেখানে চালক কী করে টাকা চান?
শনিবার কাটোয়া ১ ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চানন তলার কাছে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে রাস্তায় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বসেছিলেন মা নার্গিস খাতুন। সঙ্গে ছিলেন নার্গিসের মা-ও। এলাকার লোকেরা তাঁদের ওই অবস্থায় দেখে বিষয়টি জানতে চান। নার্গিস জানান, তিনি কাটোয়ার অর্জুনডিহির বাসিন্দা। তিন দিনের মেয়েকে নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে মাতৃযানের অ্যাম্বুল্যান্স করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু রাস্তায় জল জমে থাকার কারণে অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছেন। নার্গিসের অভিযোগ, ঘুরপথে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁরা চালকের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কথা শোনা হয়নি। চালক তাঁদের বলেন, ২০০ টাকা দিলে তিনি পৌঁছে দেবেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মাতৃযান চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হবে।’’ এর পর সুপারের উদ্যোগেই অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে প্রসূতিকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।