উৎসবের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ বাস।— নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব উপলক্ষে পর্যটন প্রসারে দশদিন ধরে আলিপুরদুয়ার থেকে রাজাভাতখাওয়া দোতলা বাস চালাবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। সোমবার সংস্থার আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে স্থানীয় পর্যটকদের নিয়ে জয়ন্তী পর্যন্ত যায় দোতলা বাস। মঙ্গলবার দুপুরে শোভাযাত্রার পরেই আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হবে দশ দিনের দ্বাদশ বর্ষ বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব। এই কয়েক দিন উৎসব প্রাঙ্গণে কয়েক লক্ষ মানুষ জমায়েত হবে বলে আশাবাদী সংগঠকেরা।
সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ এনবিএসটিসির আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে পর্যটকদের জন্য দোতলা বাস চালু করেন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসবের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি জানান, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দ্বাদশ বর্ষ ডুয়ার্স উৎসবের সাফল্য কামনা করে হোয়াটস অ্যাপে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তা উৎসবের উদ্বোধনের সময় দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় জনজাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং পর্যটন প্রসারের লক্ষ্য নিয়ে ডুয়ার্স উৎসব হচ্ছে। সেজন্য উৎসব শুরুর একদিন আগে থেকেই পর্যটকদের জন্য বিশেষ দোতালা বাস চালু করা হল। বাসটি আলিপুরদুয়ার শহর থেকে পর্যটক নিয়ে রাজাভাতখাওয়ায় যাবে।”
এদিন বিভিন্ন জীবজন্তু ও ডুয়ার্সের নিসর্গের ছবি লাগানো বিশেষ বাসটি বেশ কয়েকজন পযর্টককে নিয়ে রাজাভাতখাওয়া হয়ে জয়ন্তী যায়। জয়ন্তীর টুরিস্ট গাইড শেখর ভট্টাচার্য ও সঞ্জীব রায় জানান, এধরণের বিশেষ বাসে জয়ন্তী ও রাজাভাতখাওয়ায় পযর্টকদের আনার উদ্যোগ ভালো। এধরণের উদ্যোগ নিলে খেয়াল রাখতে হবে বাসগুলি যাতে এসে পর্যাপ্ত সময় এখানে দাঁড়ায়। তাতে জঙ্গল সাফারি বা এলাকায় ট্রেকিংয়ের পর্যাপ্ত সময় পাবেন পর্যটকরা।’’
এদিন শালকুমারের বাসিন্দা বিষ্ণু কার্জি, আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা মানসী ঘোষ, বীথিকা বর্মন, সবাই এক সুরে জানান, দোতলা বাসে করে বক্সা জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়ার অনুভুতিই আলাদা। এধরনের বাস পরিষেবা নিয়মিত চালু করলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। এদিন বিশেষ ওই বাসে বাউল সঙ্গীতের আয়োজন করেছিল এনবিএসটিসি।
উৎসব কমিটির সম্পাদক অনুপ চক্রবর্তী জানান, এ বছর প্রথম উৎসব প্রাঙ্গনে ভুটানের বিশেষ স্টল ও চায়ের স্টল থাকছে। তাছাড়া রাজ্যের প্রায় সব জেলার হস্তশিল্পীদের স্টল থাকছে। গত বছর দশদিনে প্রায় ৬-৭ লক্ষ দর্শক ভীড় করেছিলেন ডুয়ার্স উৎসবে। এ বছর স্কুলগুলির পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় ভিড় আরও বাড়বে বলে তাঁদের আশা। দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য উৎসব প্রাঙ্গনে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।