Justice Abhijit Gangopadhyay

মানিকের জুতোয় পা নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে পর্ষদ সভাপতি বললেন, ‘আচ্ছা ধর্মাবতার’

২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি জানান, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৪
Share:

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। ফাইল চিত্র।

আরও এক বার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের উপস্থিতিতেই তাঁকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। পর্ষদ সভাপতিকে বিচারপতি বলেন, “মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না।’’ পর্ষদ সভাপতি বলেন, “আচ্ছা ধর্মাবতার।”

Advertisement

২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি জানান, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে এত দিন পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতকে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আমার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সময় টাকা থাকে, আইনজীবীদের পিছনে ৩০ লাখ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না, অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক রীতিনীতির দোহাই দেওয়া হয়!”

Advertisement

বুধবারই প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে বলেছিলেন, “নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের।’’ মানিককে জেরা করার বিষয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? এর থেকে তো আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি। হাই কোর্টের অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তদন্ত শেষ করতে হবে তো। এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ? ছিঃ ছিঃ ছিঃ।” তিনি আরও বলেন, “এত ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে এবং আদালতের কাছে এত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, এটা করলে কিছু বৈধ ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এক জনও বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমার ভাল লাগবে না। এখনও এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কিছু দালাল বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”

নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখন জেলবন্দি রয়েছেন মানিক। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধ উপায়ে চাকরি বিক্রি-সহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement