দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যাত্রী।—নিজস্ব চিত্র।
সকাল ৮টায় পৌঁছতে হবে মেডিক্যাল কলেজে। সে দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ডোমকলের হিতানপুর মোড় থেকে সরকারি বাসটা ধরলাম। বাস ছুটল রকেটের মতো। সিট পাইনি, মিনিট কয়েক পরে ইসলামপুর গিয়ে এক যাত্রী নেমে যেতেই বসতে পেলাম।
কিছুক্ষণ পরে একটা ফোন এল। কথা বলতে বলতেই চোখে পড়ল, ড্রাইভারের দিকে। দেখি, তাঁর কানেও ফোন। হাত নেড়ে কথা বলছেন কারও সঙ্গে। হঠাৎ কানে এল শব্দটা, ‘গেল রে!’ তার পরেই কোথায় যেন ভেসে চলেছি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সারা গায়ে মুখে জলের ছিটে, ঝপাং করে জলে পড়ল বাসটা।
তার পরে যা হয়েছে, বলতে গেলে এখনও গলা শুকিয়ে আসে। দমটা বন্ধ হয়ে আসছে। ভেসে ভেসে বাস থেকে বেরোলাম। সূর্যের আলো পড়ে হলুদ হয়েছে জল। একটু করে ফর্সা হয়ে উঠছে, বুঝতে পারলাম ভেসে উঠছি। সেই সময় প্রথমেই মনে পড়েছিল, ছেলে রাহাতের মুখটা। কিন্তু, তার পর আবার সব গুলিয়ে গেল। ফের শুরু হল জল তোলপাড় করে ভেসে থাকার লড়াই। আচমকা কেউ এক জন বাড়িয়ে দিলেন হাত। তবে, তার পর থেকে আর বাসে উঠি না।
আরও পড়ুন: অসুস্থ বাবাকে নিয়ে রাতভর দৌড় সাব-ইনস্পেক্টরের, সরকারি বিমা শুনেই মুখ ফেরাল ৪ হাসপাতাল
আরও পড়ুন: মমতার ছবি কোটি টাকা দিয়ে কেনেন চিটফান্ড মালিকেরা, বললেন অমিত